ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,   পৌষ ৮ ১৪৩২

দীর্ঘদিন কাশির সমস্যায় ভুগছেন? গুরুতর কিছু নয় তো?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

শীতকালে অনেকেই ঘন ঘন গলা ব্যথা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন। কাশি খুব সাধারণ সমস্যা ভেবে আমরা ততটাও গুরুত্ব দিই না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করি না। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘ দিন ধরে কাশির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।  

জেনে নিন, দীর্ঘস্থায়ী কাশি কোন কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে...

ব্রঙ্কিয়াল হাঁপানি 

দীর্ঘ দিন ধরে কাশি হচ্ছে? তাহলে অবশ্যই হাঁপানির পরীক্ষা করান। কারণ দীর্ঘস্থায়ী কাশি হাঁপানির অন্যতম উপসর্গ। দিনের পর দিন কাশি আরও বাড়লে আপনি হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় না, বরং কাশিই তাদের একমাত্র উপসর্গ।

কোভিড বা ভাইরাল ইনফেকশন 

কোভিডের পরে বা ভাইরাল সংক্রমণের পরে, অনেক রোগী দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যায় ভোগেন। ভাইরাল সংক্রমণের পরে কখনও কখনও শ্বাসনালী অ্যালার্জেনের প্রতি হাইপার রিঅ্যাকটিভ হয়ে যায়। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।

ক্যান্সার, সিওপিডি 

বয়স্কদের মধ্যে, ফুসফুসের ক্যান্সার, ফুসফুসের ফাইব্রোসিস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), হার্ট ফেইলিওর এবং নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কাশির কারণ হতে পারে।

যক্ষ্মা 

যক্ষ্মা সেরে যাওয়ার পরে bronchiectasis-এর কারণে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হয়। তাই কোনও ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী কাশিতে ভুগলে অবশ্যই তার যক্ষ্মা টেস্ট করানো প্রয়োজন।

অন্যান্য কারণ 

চিকিৎসকদের মতে, গ্যাস্ট্রো এসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, ফরেন বডি অ্যাসপিরেশন, পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপ-এর কারণেও দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী কাশি হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী কাশিকে কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়। অবহেলা করলে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/