ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২২ ১৪৩১

জি ২০ সম্মেলনে চীনের প্রতি ‘অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ অস্ট্রেলিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একটি বৈঠক নিশ্চিত করে চীনের প্রতি ‘অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ দেখিয়ে ক্যানবেরার সাফল্য তুলে ধরেছেন।

সিঙ্গাপুর পোস্ট জানিয়েছে, চীনের ‘আক্রমণাত্মক আর অর্থনৈতিক জোর-জবরদস্তির’ মনোভাবের প্রতি ঝুঁকেনি অস্ট্রেলিয়া; ফলে বেইজিংও বুঝতে পেরেছে তাদের কৌশল এখানে কাজ করবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে চীনের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি 'কট্টরপন্থী' এবং ‘যুদ্ধাংদেহী মনোভাবের’ মতো। অস্ট্রেলিয়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রাখতে চায়। যাহোক সেই স্থিতিশীলতা নির্ভর করে বৈধতার সামষ্টিক মনোভাবের ওপর। এখন প্রশ্ন উঠেছে বৈধতা কীসের ওপর ভিত্তি করে হবে। অর্থাৎ সেটি কেনো প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে হয়, নাকি কিছু মূলনীতি, প্রতিষ্ঠান বা নিয়মের ওপর নির্ভর করে হয়; যার মাধ্যমে জাতিগুলো একে অপরে সমন্বয় করে।

এই ক্ষেত্রে ক্যানবেরা দ্বিতীয়টিকে মেনে চলতে চায়, আর চীন যায় প্রথমটি, অর্থাৎ কোনো ক্ষমতাকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন অস্ট্রেলিয়াকে ‘টার্গেট’ করেছে, কারণ বেইজিং দেখতে চায় বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নীতি ও নিয়মগুলোকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কাছে, বিশ্ব দুইভাগে বিভক্ত। অর্থাৎ কারা ক্ষমতা ব্যবহার করে আর দ্বিতীয়ত কারা ক্ষমতার প্রতি নমনীয় বা আনুগত্য দেখায়।

চীন মূলত ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি, স্বেচ্ছাচারী আটকবস্থা, বিদেশি হস্তক্ষেপ, সামরিক ভীতি এবং অভিযোগের পাহাড়েরর কৌশল ব্যবহার করছে। 

চীন দেখতে চায়, অস্ট্রেলিয়া সরকারকে দেখতে চায় তারা আসলে ‘মাথামোটা বা গর্দভ’ কিনা।

সিঙ্গাপুর পোস্ট জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ভয় পাচ্ছে না। তারা মূল্যবোধ ও স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ক্যানবেরা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার নীতি ও নিয়ম অনুসরণ করে; যার মানে বোঝায়- জোর-জবরদস্তি বা গুন্ডামি গ্রহণযোগ্য নয়।

এসি