ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

উৎসবে ভাসছে আর্জেন্টিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

অধিনায়ক লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছে। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ী দলটিকে রাজধানীতে দেয়া হবে বীরোচিত সংবর্ধনা। পুরো দেশ ভাসছে উৎসব আনন্দে।

গত রোববার কাতারে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর ফাইনালে শিরোপা জয় করে আসা দলটি আজ রাতটি কাটাবে ইজিজা বিমান বন্দর সংলগ্ন আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রশিক্ষন কমপ্লেক্সে। বিকালে তারা যাত্রা করবে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের প্রাণকেন্দ্র আইকনিক ওবেলিস্ক স্মৃতিস্তম্ভের দিকে। সরকারি ছুটির দিনে আয়োজিত  সম্বর্ধনায় হাজার হাজার ভত্ত-সমর্থক উপস্থিত থাকবে বলে  ধারণা  করা হচ্ছে।

এর আগে বুয়েন্স আয়ার্সের বিমান বন্দরে প্রিয় দলকে স্বাগত জানাতে ভীড় করে হাজার হাজার সমর্থক। 

বিমান বন্দরের বাইরে এ সময় অপেক্ষমান ২৫ বছর বয়সি ছাত্র আইরটন কেরডোকাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন,‘ সারা রাত ধরে আমরা এখানে অপেক্ষা করছি এবং আগামীকালও থাকব। কাল আমরা কোন কাজে যাব না। আমরা এদিন কিছুই করতে চাই না। আর্জেন্টাইন দলের সঙ্গে আমরা সরাসরি ওবেলিস্ক স্মৃতিস্তম্ভে যাব।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নাটকীয়তায় ভরপুর ফাইনালে অতিরিক্ত সময়সহ ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ ব্যবধানে  হারিয়ে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা দূর করে আর্জেন্টিনা।

দলটিকে বহন করে আনা অ্যারোলিনাস আর্জেন্টিনা এয়ারবাস এ৩৩০ বিমানটির লেজে মেসির একটি ছবির সঙ্গে লেখা ছিল,‘ একটি দল, একটি দেশ, একটি স্বপ্ন।’ 

ফাইনালে দুই গোল করা মেসি বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে সবার আগে বিমান থেকে বের হন। তার পেছনেই ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এরপরই বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে টুর্নামেন্টে চার গোল করা জুলিয়ান আলভারেজ।

লাল গালিচায় পা দিয়ে খেলোয়াড়রা সরাসরি উঠে যায় সাদা রংয়ের একটি ছাদ খোলা বাসে। যেখানে লেখা ছিল ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’। পাশে আঁকা ছিল তিনটি তারকা।

এ সময় বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হওয়া এনজো ফার্নান্দেজ ড্রাম বাজাচ্ছিলেন জোর তালে। শুধু ফার্নান্দেজই নন, লাওতারো মার্টিনেজ থেকে শুরু করে অনেকেই ড্রাম বাজিয়েছেন। এছাড়া ফুটবলারদের সঙ্গে অন্য বাদ্যযন্ত্রও ছিল। একটা সময় ভক্তরা এবং বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলাররা ‘মুচাচোস’ গানের ব্যান্ড সংস্করণের সঙ্গে তালে তালে নাচতে ও গাইতে থাকেন। এ গানটি কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার আনঅফিসিয়াল জাতীয় সংগীতই হয়ে গিয়েছিল!

এসি