ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

স্বামীর অফিসে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১০:০৫ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

রাজধানীর গুলশানে স্বামীর কর্মস্থলে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী জোবায়ের হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত দশটায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মাহিমা খানম মুলান (২২) কাঁচের বোতল ভেঙে নিজের পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন স্বামী জোবায়ের হোসেন।

নিহত মাহিমা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দনতলা গ্নামের মুয়াজ্জল হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে জোবায়ের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি গুলশান ১১০ নম্বর রোডের ‘ড্রোব প্রোডাকশন মিডিয়া হাউজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাহিমার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃতের স্বামী জোবায়ের হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গুলশান থানাকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি বোতল ভেঙে নিজের পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্বামী বলেছেন। বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কে সূত্র ধরে গত মে মাসে বিয়ে করেন জোবায়ের ও মাহিমা। বর্তমানে তারা উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল নাবিল হাউজিংয়ে একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। সেখানে তাদের সঙ্গে মাহিমার ছোটবোনও থাকতেন।

জোবায়ের জানান, মাহিমা আমার অফিসের সামনে গিয়ে ফোন করে আমাকে ডাকে। আমি তখন অফিসে ছিলাম না। পরে মাহিমা সেখানে বোতল ভেঙে নিজের পেটে নিজেই আঘাত করে। অফিসের লোকজনের কাছ থেকে এ খবর পাই। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত পৌনে ১১টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, মাহিমা তার এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে সব সময় কথা বলতেন। তা নিয়েই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হয় এবং গত ৬ ডিসেম্বরের পর তিনি আর নিজের বাসায় ফেরেননি। 

মাহিমা নিজের হাত কাটে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করলে গত ১৭ ডিসেম্বর মাহিমার বাসায় যান এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরপর মাহিমার মা জোবায়েরের পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেন বলেও জোবায়েরের দাবি। 

এমন পরিস্থিতিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ডাকযোগে মাহিমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন বলে জানান জোবায়ের।

এএইচ