ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

মেসির যে কথায় বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া হন সতীর্থরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিতে যখন মেসিরা নিজ দেশ থেকে রওয়ানা দেন, তখন আর্জেন্টিনার পাশে জ্বলজ্বল করছিল টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে সহজেই হারিয়ে তারা এ রেকর্ড আরও পাকাপোক্ত করবেন- এমন আশা ছিল মেসিদের। 

কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সৌদির কাছে হেরে যায় ল্যাটিন পরাশক্তিরা।

সেই পরাজয়ের পর অনেকেই তো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শেষ দেখে ফেলেন। অনেকে আবার মেসির জন্য আফসোস করে তার বিশ্বকাপহীন ক্যারিয়ারের কথা ভেবে দুঃখ করতে থাকেন!

কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে ওটাই ছিল মেসিদের প্রথম ও শেষ পরাজয়। এরপর তারা আর পরাজয় দেখেননি। একটানা ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ নিয়েই ঘরে ফিরেছেন তারা।

স্বাভাবিকভাবেই সৌদির কাছে হেরে যাওয়ার পর বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ পায়নি মেসির দল। তারপরও ফাইনালে এসে মূল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে মেসি বাহিনী। প্রতিপক্ষ যেখানে এমবাপ্পের ফ্রান্স। গত বিশ্বকাপ জয় করে তারা আবারও ফাইনালে। 

ফলে বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতা মোটেও সহজ কিছু ছিল না মেসিদের জন্য। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছে মেসির দলই। প্রথম ম্যাচে আপসেট হওয়ার মতো পরাজয়ের পরও তারা জয়ের ট্র্যাকে ফিরে আসে। ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। 

কিন্তু ফাইনালের আগে সতীর্থদের কী বলে তাতিয়ে দিয়েছিলেন মেসি? সম্প্রতি সেটাই ফাঁস করে দিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রত্যেক ম্যাচের আগে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন মেসি। আমাদের ওপর থেকে বাড়তি চাপ কাটাতে চাইতেন। সেই সময় তিনি বারবার মনে করিয়ে দিতেন- এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ!

অ্যালিস্টার জানান, মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের জন্য মেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। আমরা জানতাম তিনি ঠিক কতটা মিস করেন এই ট্রফিটা। তাই আমরা ওর জন্যই জিতেছি। ডি মারিয়া ও মেসি- এই দুজনের কারণেই বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম আমরা, বিশেষ করে আমি।

এনএস//