ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

হেলিকপ্টারে নববধূকে বাড়ি নিলেন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

কুড়িগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলেন নেত্রকোনার হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে অপু বাসফোর। অপু পেশায় একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও মৃত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এ আয়োজন করেন তিনি। 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারটিকে অবতরণ করা হয়। পরে হেলিকপ্টারটি দেখতে হাজারও মানুষের ভীড় জমে।

কনে সানিতা রানী বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বস্তি পাড়া গ্রামে হরিজন ভুট্ট বসফোরের মেয়ে। 

নববধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপু বাসফোরের কুড়িগ্রামের নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।

কনের বাবা ভুট্ট বাসফোর বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। বরপক্ষ মেয়েকে পছন্দ করেছে। দু’পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে দেওয়া হলো। মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাবে এ কথা কখনোই বিশ্বাস করতাম না। আজ হেলিকপ্টার এসে মেয়েকে যখন নিয়ে গেল বুকটা শান্তিতে ভরে গেল।”

বর অপু বাসফোর বলেন, “বাবা গত দু’বছর আগে মারা যান। তার ইচ্ছে ছিল বড়সড় আয়োজন করে আমার বিয়ে দিবেন। বলতেন, ছেলের বউকে যেন হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাই বাবার আত্মার শান্তি ও স্বপ্ন পূরণে ঘণ্টা প্রতি ৮০ হাজার টাকা খরচে হেলিকপ্টারে করে বউকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।”

হেলিকপ্টার দেখতে আসা মোঃ রহিম নামের একজন বলেন, “আমি কখনো হেলিকপ্টারে বর যাত্রী যেতে দেখি নাই। আজ স্টেডিয়ামে এত মানুষের ভীড়ে হেলিকপ্টার দেখলাম। দোয়া করি, বর-বউ যেন ভালো থাকে।”

রহিম উদ্দিন নামের একজন বলেন, “আমার জানামতে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে কুড়িগ্রামে হয় নাই। এইবারেই প্রথম হরিজন সম্প্রদায়ের এক মেয়ের বিয়ে হলো হেলিকপ্টারে করে।”

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদ আলী বলেন, “আমরা শৃঙ্খলা রক্ষা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। খুব সুন্দরভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করে বর যাত্রীরা চলে গেল।”

এএইচ