ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

ভারতীয় জেনেরিক কোভিড ওষুধ প্যাক্সলোভিডের ব্যাপক চাহিদা চীনে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

কঠোর কোভিড নীতি থেকে সরে আসার পর চীনে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে ব্যাপকভাবে। এ পরিস্থিতিতে বেইজিং অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফাইজারের ওষুধ প্যাক্সলোভিড কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে বিতরণ শুরু করবে বলে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে।

চীনা নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, কমিউনিটি চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরই কোভিড-১৯ রোগীদের ওষুধ বিতরণ শুরু করবেন এবং কীভাবে সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কেও তথ্য প্রচার করবেন।

বেইজিংয়ের জিচেং ডিস্ট্রিক্টের স্থানীয় একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের এক কর্মী সিএনএনকে বলেন, “আমরা একটি নোটিশ পেয়েছি, তবে ওষুধটি কখন আসবে তা স্পষ্ট নয়।”

প্যাক্সলোভিডই একমাত্র বিদেশি কোভিড ওষুধ যা চীনে ব্যবহারের জন্য দেশটির সরকার অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই ওষুধ পাওয়াটাও একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া।

চীনের সংবাদমাধ্যম সিক্সথ টোন জানিয়েছে, দেশটির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে...ভারতে উত্পাদিত অন্তত চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ…প্রিমোভির, প্যাক্সিস্তা, মোলনুনাট এবং মোলনাট্রিস সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রিমোভির এবং প্যাক্সিস্তা উভয়ই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক সংস্করণ, অন্য দুটি মলনিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ।

শূন্য কোভিড নীতি নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর চীন প্রায় তিন বছর ধরে চলা লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এবং গণ কোভিড পরীক্ষার নীতি থেকে গত মাসে হঠাৎ করে প্রত্যাহার করে। সহসা এই নীতি পরিবর্তনের ফলে জ্বর এবং সর্দির ওষুধ কেনার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফার্মেসি এবং অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোতেও ওষুধের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

সিএনএন জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিং এবং অন্যান্য ক্লিনিক এবং হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে রোগীদের দীর্ঘ লাইন সাধার ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

এসি