ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

বিলুপ্তপ্রায় পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী দেবী মন্দির (ভিডিও)

মুজাহিদ প্রিন্স, পটুয়াখালী

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান দয়াময়ী দেবী মন্দির।প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরনো মন্দির প্রাঙ্গণ এক সময় ভক্ত-দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত থাকলেও কালের বিবর্তনে জৌলুস হারিয়ে আজ বিবর্ণ। 

বাংলা ১২০৮ সনে গলাচিপার সুতাবাড়িয়া গ্রামের প্রায় তিন একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মন্দিরটি। মন্দিরের পশ্চিম পাশে রয়েছে একটি শিব মন্দির। শিব মন্দিরে পাশে রয়েছে কালী মন্দির । 

জনশ্রুতি রয়েছে, অনেক কাল আগে কোনো এক রাতে একটি প্রাচীন বেল গাছের তলার মাটি ফুঁড়ে বের হয় দয়াময়ী দেবীর মূর্তি। ওই রাতেই এলাকার জমিদার ভবানী শঙ্কর সেন স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হন দেবী মূর্তির আবির্ভাবস্থলে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য। 

কারো কারো মতে-স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে জমিদার ভবানী শঙ্কর সেন গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদীতে সূর্যস্নান করতে গিয়ে দয়াময়ী দেবীর মূর্তিটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। ওই মূর্তি উদ্ধার করে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মন্দির। 

এক সময় প্রত্মতাত্ত্বিক সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হয়ে দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ ছুটে আসতেন মন্দির দর্শনে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে দর্শনার্থীদের পদভারে জমজমাট থাকত সারা গ্রাম। প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখ থেকে মাসব্যাপী মেলা বসত মন্দিরপ্রাঙ্গণে। 

সময়ের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মেলাটি এখন বছরে মাত্র একদিনের জন্য অনুষ্ঠিত হয় মাঘী সপ্তমীতে। বর্তমানে নদীর পাড়ে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে মন্দিরটি। 

ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী বীরেন সমদ্দার। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান মন্দিরটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে দৃষ্টি আকর্ষণসহ তার চেষ্টার কথা।

ঐহিত্যবাহী মন্দির রক্ষায় দ্রুত কাজ শুরুর কথা জানালেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান।

ঐতিহাসিক এ নির্দশন রক্ষায় সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। 

এএইচএস