ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচারী হবেন কীভাবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

শুদ্ধাচারী হতে হলে আপনাকে জানতে হবে ভালো-মন্দ সম্পর্কে, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে। নৈতিকতার কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিতে হবে প্রতিটি কথা ও কাজকে। আর নৈতিকতার কষ্টিপাথরে আচার-আচরণ বিশ্লেষণ করে করণীয়-বর্জনীয়গুলোকে সহজ ভাষায় লিপিবদ্ধ ও তা সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটিই কোয়ান্টাম করছে গত সিকি শতাব্দী ধরে। নৈতিক সচেতনতা সৃষ্টির এই অবিরাম প্রয়াসের ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে মোট ১১ পর্বে পকেট ফোল্ডার আকারে প্রকাশ করে ‘শিষ্টাচার কণিকা’। তারপর একযুগেরও বেশি সময় ধরে পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের ফসল হচ্ছে বর্তমান সংকলন ‘শুদ্ধাচার’।

ক্যারিয়ারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি

১. প্রতিষ্ঠানে নিজের কাজকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করুন।

২. দায়িত্ব নিতে শিখুন। কাজকে ভালবাসুন। কাজের সুযোগ পেলে মন থেকে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

৩. আপনাকে কাজ দেয়া হলে যদি আপনি বিরক্ত হন, তাহলে এমন সময় আসবে, যখন কাজ আর আপনার কাছে আসবে না। কাজকে যে ভালবাসে, কাজ তার কাছেই আসে।

৪. কর্মক্ষেত্রে কখনো বিরক্তি, বিরসভাব ও হতাশ চেহারায় থাকবেন না। বিরক্তিভাব কাজের বরকত নষ্ট করে দেয়। যত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জই আসুক ইতিবাচক ও হাসিখুশি থাকুন।

৫. পেশাগত সাফল্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অপরিহার্য নয়, সহায়ক মনে করুন।

৬. কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে পূর্বতন কর্মস্থল সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।

৭. উপার্জনের উৎস সৎ ও শ্রমলব্ধ হলে কোনো কাজকেই হেয় মনে করবেন না।

৮.বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভাবতেই ব্যস্ত থাকবেন না। কাজ ফেলে রেখে এ নিয়ে সহকর্মীদের সাথে সমালোচনা-পর্যালোচনা করবেন না। নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। বর্তমান প্রতিষ্ঠান আপনার মূল্যায়ন করতে না পারলেও প্রাকৃতিকভাবে আপনি পুরস্কৃত হবেনই।

৯. কেরানি মানসিকতায় ভুগবেন না। ব্যবস্থাপকীয় দৃষ্টিভঙ্গি লালন করুন।

১০. যথাযথ প্রয়াস না চালিয়ে ‘কাজ হয়ে যাবে, সমস্যা নেই’−এ ধরনের বাক্য ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করুন।

১১. মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আপনার কাজে কোনো ধরনের ভুল হলে গোপন করবেন না। আপনি বুঝতে পারার সাথে সাথেই পদস্থকে জানান। এতে ভুল সংশোধনের জন্যে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হবে।

১২. অন্যের ব্যর্থতাকে নয়, সাফল্যকে অনুসরণ করুন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিতার মুখে অন্য সহকর্মীর উদাহরণ দেবেন না যে, ‘এই ভুল তো অন্যেরাও করে, শুধু আমাকে বলছেন কেন?’

১৩. অল্প সময়ে এত কাজ কীভাবে করব−এ মানসিকতা পরিহার করুন। অপর্যাপ্ত সময়কে প্রতিবন্ধক মনে করবেন না। সময়কে সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগান। এটিই সাফল্যের অন্যতম সূত্র।

১৪. নিজ প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে নিজের কাজ ও আমানত মনে করুন।

১৫. উপরি আয়/ বাড়তি সুবিধা পেতে অন্যায়ভাবে ফাইল/ বিল বা কাজ আটকে রাখবেন না। নৈতিক মানদণ্ডে সৎ থাকলে প্রাকৃতিকভাবে আপনি পুরস্কৃত হবেন। মনে রাখুন, নিজের কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করাই প্রকৃত দেশপ্রেম।

এসবি/