ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

সড়ক বিভাজকে লাগানো হচ্ছে ফলের গাছ (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

ফলের আশায় সড়ক বিভাজকে লাগানো হয়েছে আমগাছ। ঠাঁই পেয়েছে কলা। বট-পাকুড়সহ ভবিষ্যতে বিশাল আকৃতি ধারণ করবে এমন সব গাছও। এগুলোকে বড় দুর্ঘটনার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন নগর পরিকল্পনা ও পরিবেশবিদরা।

সড়ক-মহাসড়কে সু-শৃঙ্খল চলাচলে তৈরি হয় রোড ডিভাইডার। চালক এবং পথচারীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য সেগুলোতে লাগানো হয় বাহারি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। 

কিন্তু রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা সড়কে রোড ডিভাইডারে দেখা মিললো সারি সারি লাগানো আম-কলা, এমনকি বট-পাকুড়েরও। এসব গাছ রোপণকারীদের আশা, এর ফল খাবে জনগণ।

স্থানীয়রা জানান, জনগণের সেবায় ৫২টা আম গাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলো বড় হলে একদিকে ছায়া হবে অন্যদিকে ফল খাওয়া যাবে। তবে যে মাটি আছে তাতে আম গাছ হয় না।

প্রশ্ন হচ্ছে সড়ক বিভাজকের এই অল্প মাটিতে এমন গাছ লাগানো যায় কিনা। প্রায়শই রাস্তার মাঝখানে গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার কোথাও মরে যাওয়া শুকনো গাছ। রাস্তার পাশের গাছ পড়ে আহত হবার নজিরও রয়েছে রাজধানীতেই। 

রাজধানীবাসীরা জানান, এগুলো সাধারণত বাগানে হয়, এগুলো আইল্যান্ডে লাগিয়ে পরিচর্যার করার মতো গাছ এগুলো নয়।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশবিদরা বলছেন, রাস্তার দ্বিমুখী গাড়ি চলাচল সুবিধা এবং জায়গা বুঝে গাছ না লাগালে ভবিষ্যতে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। 

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি খোন্দকার এম আনসার হোসেন বলেন, “ওই আমগাছগুলোর শেকড় যতোদূর ছড়ানো কথা সেটা ওখানে দিতে পেরেছি কিনা, যদি না দিতে পারি তাহলে দয়া করে ওখানে  আমগাছ লাগাবেন না। পাতা খুব ঘন আম-কাঁঠাল এরকম গাছ যদি লাগাই তাহলে রাস্তাটি চিকন মনে হবে। উদার একটা খোলা জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই ফিলিংসটা তো আর থাকবে না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম বলেন, “দেখা যাচ্ছে গুলশান থেকে নাবিস্কো সেই রাস্তায় কদমগাছ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি এই গাছ লাগিয়েছেন তিনি কি জানেন কদমগাছ লাগানোর এই জায়গা উপযুক্ত কিনা। এই গাছটা বড় হলে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে যারা চলবেন তখন কালবৈশাখী ঝড় হলে তখন কি অবস্থা হবে। আমরা কোন রাস্তায় কোন গাছ লাগাবো, কোন লনে কোন গাছ লাগাবো, কোন পার্কে কোন গাছ লাগাবো সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে যদি গাছের প্রজাতিগুলো সিলেকশন করা যেতো তাহলে সমস্যা হওয়ার সুযোগ থাকতো না।”

দৃষ্টিনন্দন ও কম ডালপালার গাছ লাগানো এবং এক্ষেত্রে সচেতনতা কিংবা সতর্কতার বিকল্প কিছু না ভাবারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

এএইচ