ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা এলো মোংলায়

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ আসবে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত ‘এপিজে কাইস’ জাহাজে করে এই কয়লা আসে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের খুলনার ব্যবস্থাপক মোঃ রিয়াজুল হক।

তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি ১৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সিডিউল জটিলতার কারণে দুদিন পর আজ ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় নোঙ্গর করে জাহাজটি। বিকালে ছোট লাইটার জাহাজে খালাস প্রক্রিয়া শুরু করা হবে এবং এই কয়লা দ্রুত রামাপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসবে বলেও জানান তিনি। 

মোংলা বন্দরের হারবার সূত্র জানায়, এপিজে কাইস জাহাজটি ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকলের বাল্ক কার্গো। এই কার্গোটি বিশেষভাবে শস্য, কয়লা এবং সিমেন্টের মত পণ্য পরিবহনের জন্য তৈরি করা। এতে পণ্য বোঝাইয়ের জটিলতায় পরিবর্তিতে অন্য জাহাজে তোলা এবং খালাস করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগে।

এদিকে, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার ১০ বছর পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু কয়লার অভাবে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। 

মূলত ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি জটিলতা দেখা দেয়। এর জেরে কয়লার অভাব দেখা দেয়। পরে এই সমস্যার সমাধান হলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে এইটি জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এএইচ