ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিবর্ধন ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ (ভিডিও)

শাকেরা আরজু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমপ্লেক্স তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শহীদ মিনারের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় মূল বেদির বাইরে নতুন এই কমপ্লেক্সে হবে সভা-সমাবেশ। একুশে টেলিভিশনকে এসব কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবিতে ভাষা আন্দোলন। রক্তস্নাত বায়ান্ন’র একুশে ফেব্রুয়ারি- যে পথ ধরে এই বঙ্গ-বদ্বীপ হয়ে উঠে সংগ্রাম ও শহীদের জনপদ। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার সকল লড়াই-সংগ্রামের চেতনায় ভাষার আন্দোলন।

ভাষা আন্দোলনের স্মারক সৌধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থাপিত শহীদ মিনার। ঐতিহাসিক এই স্থাপনা পরিবর্ধন ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “আমাদের অংশটুকু জমা দিয়েছি সরকারের কাছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও আছে যাতে বাস্তবায়নে আমরা খুব বেশি সময় না নেই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি পরামর্শও আমাদের প্রতি আছে। আমরা যখন এটা বাস্তবায়নে ১৫ বছরের কথা বলেছি তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আরও কম সময়ে বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদীর সামনে বিশাল উন্মুক্ত চত্তর তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পশ্চিমে থাকবে আরও একটি চত্তর আর পূর্বে একটি পুকুর।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, “মাস্টার প্ল্যানে যেটি বলা হয়েছে তা হলো শহীদ মিনার চত্তরে আমাদের একটি আবাসিক এলাকা আছে সেটি এখানে থাকবে না। এই আবাসিক এলাকাটা যখন উঠে যাবে তখন এখানে বিস্তৃত একটি উন্মুক্ত এলাকা তৈরি হবে।”

বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর দিকে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি আবাসিক এলাকা। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এই আবাসিক ভবনগুলো ভেঙে শহীদ মিনারের মূল বেদীর সামনের উন্মুক্ত চত্তরে পরিণত করা হবে। 

এএইচ