ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

প্রত্যেকটি শব্দের সঙ্গে জেগে উঠে জনগণের হৃদয় (ভিডিও)

ফারজানা শোভা, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১১ এএম, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের অবিস্মরণীয় দিন। একাত্তরের এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সেই অনবদ্য ভাষণে কেবল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বানই ছিল না, ছিল জয়ের দিকনির্দেশনাও। সেই কালজয়ী ভাষণকে মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। 

৭ মার্চ ১৯৭১। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। জনতার উত্তাল স্রোতে গিয়ে মেশে রমনার মোহনায়। রেসকোর্স ময়দানের মুক্তিকামী মানুষের মুহুর্মূহু জয় বাংলা স্লোগান প্রতিধ্বনিত হতে থাকে আকাশ-বাতাসে।

ঘড়ির কাঁটায় ৩টা কুড়ি। চিরাচরিত সাদা আর কালো পোশাকে বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু দৃপ্ত, আত্মবিশ্বাসী পায়ে উঠে এলেন জনতার মঞ্চে। বাঙালির পথপ্রদর্শক এই কবি শোনালেন বহু কাঙ্ক্ষিত সেই অমর কবিতা। 

বৈষম্য নিরসন, স্বাধীকার ও মুক্তির প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু তুলে ধরলেন চার দফা। অসহযোগের ডাক দিলেন আরও স্পষ্ট করে। এই ভাষণের পরপরই সর্বস্তরে শুরু হয়ে যায় সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি। 

তৎকালীন  ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “এটা অতুলনীয় ও অবিস্মরণীয় এবং জনগণের সাড়া আরও অভাবনীয়, আরও অচিন্তনীয়। জনগণ ঠিক যেটি শুনতে চেয়েছিল, যা শোনার জন্য বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিল, প্রত্যেকটি শব্দের সঙ্গে জনগণের হৃদয়ের অভ্যন্তরে যে বীনা নজরুলের বিশেষ বাঁশরীর মতো জেগে উঠলো।”

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মতকে একস্বরে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু দিলেন স্বাধীনতার ডাক। পাকিস্তানি জান্তার হুমকি উপেক্ষা করে দেখালেন মুক্তির পথ। এত স্পষ্ট এবং অলিখিত রাজনৈতিক ভাষণ ইতিহাসে বিরল। 

পরিণত এবং দূরদর্শি এ ভাষণ কেবল বাংলাদেশেই নয় আন্তর্জান্তিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছে কিংবদন্তীর সম্মান, আখ্যায়িত করেছে রাজনীতির কবি হিসেবে। 

এএইচ