ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিলিন্ডার পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে রড, ঝুঁকি বিস্ফোরণের (ভিডিও)

পার্থ সারথী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার

খরচের চেয়ে কম দামে গ্যাসের পাত্র সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। আর সেই সিলিন্ডার পুড়িয়ে রড বানায় অসাধু চক্র। বিপজ্জনক এ কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে শ্যামপুর-ডেমরা এলাকার কিছু রি-রোলিং স্টিল মিল। অথচ সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে সহসাই দগ্ধ হতে পারে আশপাশের বহু এলাকা।

গেল কিছুদিন ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় একের পর এক ঘটছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। ছড়িয়ে পড়া আগুনে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ, জ্বলছে বাড়িঘর-কলকারখানা।

এরমধ্যেই শ্যামপুর-ডেমরা এলাকায় সন্ধান মিললো ভয়াবহ সব রি-রোলিং কারখানার। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার পুড়িয়ে বানানো হয় বিভিন্ন মিলিমিটারের রড। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় রড ও স্টিল কাঁচামালের বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার পোড়ায় অসাধু চক্রটি। 

স্থানীয়রা জানান, এখানে অনেক সময় দেখি সিলিন্ডার নামানো হচ্ছে। তবে কোথা থেকে আসছে তা জানি না।

একুশে টেলিভিশনের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাকভর্তি এলপিজি সিলিন্ডার সরিয়ে নেয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। 

এলাকাবাসী বলছে, ভাঙ্গারি দরে সিলিন্ডার কিনে বিপজ্জনকভাবে গলানোর কাজ করে রি-রোলিং মিলগুলো। এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা বলছে, অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সিলিন্ডারের আকৃতি পরিবর্তন মারাত্মক অপরাধ।

জি গ্যাস এলপিজি’র অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আহম্মেদ আলী রিপন বলেন, “সিলিন্ডারগুলোর আকার পরিবর্তন করে অন্য কাজে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এতে সরকারের ক্ষতি, সর্বসাধারণেরও ক্ষতি।”

ভয়ঙ্কর পরিবেশে গ্যাস সিলিন্ডার পোড়ানোয় বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি। মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর। 

আহম্মেদ আলী রিপন বলেন, “লৌহজাত দ্রব্য আমদানিতে যে ভ্যাট দেওয়া হয় সেই ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার জন্য মূলত এই ধরনের সিলিন্ডার বা এই ধরনের প্রোডাক্টগুলো অসাধু ব্যবসায়ীরা মিলে গলায়। অল্প সময়ে বেশি মুনাফার জন্য এই অনৈতিক কাজগুলোর সঙ্গে মিল মালিকরা সম্পৃক্ত।”

সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে অবিলম্বে নিষ্কৃতি চান শ্যামপুর-ডেমরার মানুষ।

এএইচ