ঢাকা, শনিবার   ২৮ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ১৩ ১৪৩২

হিজাবহীন নারীদের ‘ক্ষমাহীন’ বিচারের হুমকি ইরানের বিচার প্রধানের

একুশে টেলিভিশ

প্রকাশিত : ০৯:০৫ এএম, ২ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার

ইরানের সংবাদমাধ্যম, বাধ্যতামূলক পোশাক বিধি অবজ্ঞা করা নারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায়, ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হুমকি দিয়েছেন, যেসব নারী হিজাব ছাড়া বাইরে আসবেন, তাদের বিরুদ্ধে ‘কোনো দয়া দেখানো ছাড়াই’ বিচারের আওতায় আনা হবে।

সরকার বাধ্যতামূলক হিজাব আইন আবার আরোপ করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পর গোলামহোসেন মোহসেনি এজেই’র কাছ থেকে এই সতর্কবাণী এলো।

এজেইকে উদ্ধৃত করে বেশ কয়েকটি সংবাদ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, “হিজাব না পরা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে শত্রুতার শামিল।” তিনি আরো বলেন, “যারা এ ধরনের অসংগতিপূর্ণ কাজ করবে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে” এবং “ ক্ষমাহীন বিচারের আওতায় আনা হবে।” তবে শাস্তির মাত্রা ও ধরণ সম্পর্কে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।

ইরানের প্রধান বিচারপতি এজেই জানান, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা “সুস্পষ্ট অপরাধ ও যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ, যা ধর্মীয় আইনের বিরুদ্ধে যায় এবং প্রকাশ্যে ঘটে, তা বিচারিক কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য”।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি নারীর মৃত্যুর পর থেকে ইরানে হিজাব পরিত্যাগকারী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনীকে আটক করা হয়েছিলো।

মাহসার মৃত্যুর পর সারা দেশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে, সরকারী বাহিনী বল প্রয়োগের মাধ্যমে তা দমন করে।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে প্রবর্তিত ইসলামী শরিয়া আইনের আওতায় নারীদের চুল ঢেকে রাখা এবং তাদের শারীরিক অবয়ব ঢেকে রাখার জন্য লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। এই আইনের লঙ্ঘনকারীদের প্রকাশ্যে ভৎসনা, জরিমানা ও গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হতে হয়।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

এসবি/