ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

এক গাছে আট জাতের আম, পাওয়া যাবে বারোমাস (ভিডিও)

রকিবুজ্জামান, কালকিনি থেকে

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৩ রবিবার

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের এক গাছে ধরেছে আট জাতের আম। গাছটি দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। কলমের গাছটিতে কিউযাই, মিয়াজাকি, থাই জ্যামবো, পলিমারসহ আট জাতের আমের ফলন পাওয়া যাবে বারোমাস।

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে ২০২২ সালে রোপণ করা হয় উন্নত জাতের এই আমগাছ। ছয় মাসের মাথায় মরে যায় গাছটির প্রধান শাখা। এরপর গোড়ার দিক থেকে গাছটিতে নতুন করে ১০টি ডাল গজায়। ডালগুলোতে কলম তৈরির মাধ্যমে ১০টি ভিন্ন জাতের আমগাছের ডাল বসানো হয়। 

এর মধ্যে আটটি জাতের কলম বেঁচে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফলন আসে। আম ধরেছে আট জাতের। এগুলো হলো মিয়াজাকি, পালমার্ক, থাই জাম্বু, কাটিমন, বারি-১১, কিউজাই, হিমসাগর ও বানানা। ১২ মাসই আম পাওয়া যাবে। 

হর্টিকালচার সেন্টারে আরও চারা গাছ তৈরি করা হচ্ছে।

দর্শনার্থীরা জানান, হর্টিকালচারের গাছে আট জাতের আম হয়েছে বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি, তাই দেখতে এসেছি। দেখলাম, এক গাছেই আট প্রকারের আম হয়েছে। গাছটি দেখার পর আমরা সবাই আশ্চর্য হয়ে যাই।

হর্টিকালচারের এক কর্মী জানান, বিভিন্ন কৃষক-কৃষানী এসে এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এবং এটা তারা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

হর্টিকালচার সেন্টার কর্তৃপক্ষ বলছে, একই গাছে বিভিন্ন জাতের আমের সংমিশ্রণ তৈরি করায় বছরজুড়ে গাছটি থেকে আম পাওয়া যাবে। 

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন খান বলেন, “একটা গাছ থেকে যাতে বারো মাস আম পাওয়া যায় এই চিন্তা থেকে এই গাছের উৎপত্তি।

উপপরিচালক আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, “আট প্রজাতির আমের যে গাছ দেখছেন এটা মূলত গ্রাপ্টিংয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে। এটা আসলে কোন জাত নয়। যদি কোনো কৃষকের চাহিদা থাকে তবে এক থেকে দু’বছর সময় নিয়ে একটা স্টক গাছের সাথে আমরা চার-পাঁচটি জাত সংযুক্ত করে দিতে পারবো।”

হর্টিকালচার সেন্টার থেকে আটজাতের এই বারোমাসী আম গাছের চার সংগ্রহ করতে চান স্থানীয়রা। 

এএইচ