ঢাকা, বুধবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৩ রবিবার

ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ার ঘটনায় নিহত ১৭ জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার পার হলেও এখনও কোনো মামলা হয়নি।

শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ হস্তান্তরের পরে এদের দাফন করা হয়।

নিহতরা হলেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য ভান্ডারিয়ার সালাম মোল্লা (৬০), তার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি এলাকার রাবেয়া বেগম (৮০), একই উপজেলার পশুরবুনিয়া এলাকার জালাল হাওলাদারের শিশুকন্যা সুমাইয়া (৬), রিজার্ভ পুকুরের পাড় এলাকার রহিমা বেগম (৬০), তার ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার (৪৫), একই এলাকার সাদিয়া বেগম (২২), ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তারেক রহমান (৪৫), কাঁঠালিয়া উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের সালমা আক্তার মিতা (৪২)।

এছাড়া রাজাপুর উপজেলার নিজামিয়া এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে খুশবু আক্তার (১৭), একই এলাকার খাদিজা বেগম (৪৩), দক্ষিণ রাজাপুরের বলাইবাড়ী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. নয়ন (১৬), একই উপজেলার মো. রিপনের স্ত্রী আইরিন আক্তার (২২), তার শিশুকন্যা রিপা মনি (২), রাজাপুরের আহসান খানের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৫৫) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরবোয়ালিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮)।

এছাড়া আহত ৩৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম। 

আহত বাকি দুই জন মো. জলিল ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম এখনও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

তবে বাস দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এ ঘটনায় রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। 

তিনি জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের সাথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আহতদের সাথে একাধিকবার কথা বলা হয়েছে তারা কেউই মামলা করতে আগ্রহী না থাকায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা রুজু হয়নি। আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব এর মধ্যে কেউ মামলা করতে আগ্রহী না হলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করছে। 

এএইচ