ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

কক্সবাজারে বন্যার পানিতে নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ থাকা ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক ঘটনায় পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজারে ৬০ টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ১ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাংগি পাড়া এলাকা থেকে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলো উজানটিয়া ইউনিয়নের ওই গ্রামের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০) ও আমির হোসেন (৫) এবং একই এলাকার সাবের আহমদের মেয়ে হুমায়রা বেগম (৮)।  উদ্ধার হওয়া শিশুরা গত মঙ্গলবার সকালে মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ছিল। এছাড়া চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীত বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানিয়েছেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনও নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে বন্যার পুর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা যাবে।

গত ৫ দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা কক্সবাজারে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বুধবার রাতে বৃষ্টি কম হওয়ায় বাসা-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে নিচু এলাকায় অবস্থিত কিছু কিছু বাড়িঘর ও এলাকা ডুবে রয়েছে। 

দূৎুর্গত এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার পানি অধিকাংশ এলাকার নেমে আসায় দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) বিভীষন কান্তি দাশ জানিয়েছেন, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৬০টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভূমি ধ্বস ও পানিত ডুবে মারা গেছে ১২ জন। বন্যা দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৯ লাখ নগদ টাকা ও ৮৩ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যায় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ১ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, পশ্চিম বড়ো ভেওলা, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভা, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া কাউয়ার রাজারকুল ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।

এএইচ