ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

জেদ্দায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

সৌদি আরব প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩ বুধবার

বাংলাদেশ কনুস্যলেট জেনারেল জেদ্দা কর্তৃক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পরেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে মান্যবর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

এরপর কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ কর্তৃক জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। 

এরপর তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল এবং স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন।

কনসাল জেনারেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ রাসেলসহ আরও দুইজন শিশুকে হত্যার মাধ্যমে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী হায়নারা কতটা নিষ্ঠুর ও বর্বর ছিল তার বর্ণনা করেন। জাতির পিতাকে জন্মগতভাবেই রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাধীকার আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র মূলত বাংলার সবচেয়ে সোনালী ও গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালায়। 

এএইচ