ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে রেল চলাচল নিয়ে সংশয় (ভিডিও)

হাসান ফেরদৌস

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩ বুধবার

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় ঠিকাদারের অবহেলা রয়েছে-এমন দাবি স্থানীয়দের। পরামর্শকদের নির্দেশ অনুয়ায়ী সংস্কারের কথা বলছে ঠিকাদারেরা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, সাতকানিয়া অংশে রেললাইনের ক্ষতি হয়েছে পাহাড়ি ঢলে। 

দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার রেলরুট নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ-সিআরইসি। সাথে রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। 

প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় গেল সপ্তাহের ভারি বর্ষণে বেঁকে যায় সাতকানিয়ার কেওচিয়া এলাকার প্রায় ৩শ’ মিটার রেললাইন। পাহাড়ি ঢলে রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় ভেসে যায় মাটি আর পাথর। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় এমন বিপর্যয়। 

স্থানীয়রা জানান, নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে আজকে যে দুর্ভোগটা হয়েছে এটা হতো না। ছোট ছোট কালভার্ট দিয়ে পানি নামতে পারেনি। 

অভিযোগ অস্বীকার করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর অতিবর্ষণের কথা বলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তমা কনস্ট্রাকশনের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, “অতিরিক্ত স্রোতের কারণে পাথরগুলো সরে গিয়েছে। ফলশ্রুতিতে রেললাইনটা বাঁকা দেখা যাচ্ছে। ট্যাম্পিং করলেই ওটা ঠিক হয়ে যাবে।”

বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, “সব দিকের পানি যদি নেমে যেতো তাহলে এই পানিও নামতো। এখনও ডাউন সাইডে পানি আছে, ওদিকের পানি নামবে কি করে। আরও ১শ’টি যদি কালভার্ট দেয়া হয় তাহলেও ওই পানি নামানো সম্ভব হবেনা। যদি না ডাউন সাইডের পানি আগে না নামে।”

অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি কী কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বিশদ জানতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বশর মো: ফারুকুজ্জামান বলেন, “ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।”

সরেজমিনে দেখা গেলো, কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথের সাতকানিয়া ও দোহাজারী অংশে এখনও বসানো হয়নি রেলট্র্যাক। যে কারণে আগামী সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারের মানুষ ট্রেনের ঝমঝম আওয়াজ আদৌ শুনবে কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।  

আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর এই রেলপথ উদ্বোধন করার কথা ছিল। পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টিতে এই রেললাইনের কিছু অংশ এরই মধ্যে ঢেবে গেছে, কোথাও বাঁকা হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এজন্য ঠিকাদারের অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন তারা। 

এএইচ