ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

বলাকইড় পদ্মবিল প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্যের ভান্ডার (ভিডিও)

একরামুল কবীর, গোপালগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

ফুলের রানী পদ্ম। শরতে গ্রাম-বাংলার খাল-বিল-জলাশয়কে সাজিয়ে তোলে অপরূপ বাহারি সাজে। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো পদ্ম ফুলের রূপ মুগ্ধতা ছড়ায় সৌন্দর্য্য পিপাসুদের মাঝে। ভরা শরতে গোপালগঞ্জ সদরের বলাকইড় বিলে ফুটেছে হাজারো পদ্ম। নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। 

আকাশে শরতের শুভ্রতা আর নিচে জলেভাসা পদ্মফুলের সমারোহ। ফুলেরা বাহারি রঙের পাঁপড়ি মেলে বাতাসের তালে তালে দুলে; যেন সব সৌন্দর্য্য দিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বাগত জানাচ্ছে পদ্মরা। 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বলাকইড় পদ্মবিল যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্যের ভান্ডার। যা দেখতে ভীড় করেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। বর্ষা-শরৎ মৌসুমে এখানে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে গোলাপী রঙের পদ্ম। 

এ বিলের পদ্ম ফুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় বিলটির এভন নাম হয়েছে বলাকইড় পদ্মবিল। বিশাল বিলজুড়ে পদ্মের সমাহার।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন পদ্মফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। তবে তাদের অভিযোগ, বেড়াতে আসা অনেকেই ফুল ছিঁড়ছেন, পদ্মবিলে ফেলছেন প্লাস্টিক বর্জ্য। রাস্তঘাটের উন্নয়ন চান পর্যটকরা।  

দর্শনার্থীরা জানান, এই বিলে যে এতো পরিমাণে ফুল ফোটে এটা আসলে আমার আগে কোথাও দেখা ছিলনা। প্রথমবার এসেছি পদ্মফুল দেখতে, অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর। তবে পদ্মবিলে যেতে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা আছে, এই রাস্তার অবস্থা এতোটাই নাজুক যে কোনো গাড়িই এখান দিয়ে আসতে পারে না।

বর্ষা ও শরৎ মৌসুমে এই পদ্ম বিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হয়।

মাঝিরা জানান, এই পদ্মবিলে নৌকা চালান, এর রোজগারে তারা ৫-৬টি মাস সুন্দরভাবে চলতে পারেন।

এখানে যাওয়ার রাস্তার উন্নয়ন ও স্থানীয় পরিবেশকে পর্যটনবান্ধব করার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, “পদ্মবিলে আসা-যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে সুপেয় পানি যাতে পর্যটকরা পান তার ব্যবস্থা নিয়েছি।”

নয়নাভিরাম এ পদ্মবিলকে ঘিরে অবকাঠামোগত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলছে দর্শনার্থী ও এলাকাবাসী।

এএইচ