ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে অটোচালকের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় ছুরিকাঘাতে আহত চালক রিপন হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী।  রামগঞ্জ থানায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হকসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন রামগঞ্জের দরবেশপুর এলাকার মোক্তার হোসেন দেওয়ানের ছেলে আলভী দেওয়ান হৃদয় (২৪), নোয়াখালীর চাটখিলের মধ্য সোন্দরপুর গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে মো. সুজন (২৫) ও নোয়াখালীর চরজব্বর থানার পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের আলী আজগর হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন (২৪)। 

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় নিহত রিপনের ছোটভাই মো. স্বপন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।  

থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে রিপনের অটোরিকশায় যাত্রী সেজে রামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ওঠে হৃদয়।

একপর্যায়ে হৃদয় রিকশার পেছন থেকে সামনে এসে চালক রিপনের সঙ্গে বসে। পরে হৃদয় তার চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করেন হৃদয়। 

পরে রিপনকে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে হৃদয় অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। অটোটি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মধ্য সুন্দরপুর এলাকায় নিয়ে সুজনের কাছে রেখে এক হাজার টাকা নিয়ে হৃদয় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে চলে যায়। পরে সুজন রিকশাটি বেলালের কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। 

এরমধ্যে সুজন বিকাশের মাধ্যমে হৃদয়কে ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেলালের কাছ থেকে রিকশাটি জব্দ করে।  

এদিকে, রিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি রামগঞ্জ পৌর শহরের কাজিরখীল এলাকার মনির উদ্দিন বেপারী বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে।

সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ভিকটিমও মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্য দুইজনকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। 

তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এএইচ