চোরাপথে নিম্নমানের চিনি আনে একাধিক সিন্ডিকেট (ভিডিও)
আহম্মদ বাবু
প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১৭ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
চোরাপথে নিম্নমানের চিনি এনে ব্রান্ডের নামে প্যাকেট (ভিডিও)
শুল্প ফাঁকি দিয়ে চোরাপথে চিনি আনে বিভিন্ন সিন্ডিকেট। ভারত থেকে আসা নিম্নমানের এসব চিনি এম আলমসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে পাইকারি বাজারে বিক্রিও করতো তারা। কুমিল্লা সীমান্তের এমন একটি চক্রকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার। পণ্যটির উচ্চমান ও দাম সহনীয় হওয়ায় অনেকদিন ধরেই এটি নকল করতে তৎপর ছিল অসাধু একাধিক চক্র।
এবার তেমনই এক সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাপথে চিনি এনে এস আলম ব্রান্ডের নামে তা পাইকারি বাজারে বিক্রিও করতো এই চক্র। এসব চিনি কুমিল্লা সীমান্তের কাঁটাতার গলিয়ে দেশে নিয়ে আসতো চোরাকারবারির দল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ চোরাকারবারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে সোমবার। জব্দ হয় কয়েকশ’ বস্তা চিনি।
সীমান্তের ওপার থেকে সস্তা মানের চিনি এনে কুমিল্লার মমিন ট্রেডার্সের মাধ্যমে দেশের বাজারে তা সরবরাহ করতো চক্রটি।
একজন জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে ইন্ডিয়া থেকে মমিন ট্রেডার্সের কাছে আসে। প্রতিদিন ৩-৪শ’ বস্তা মাল নামে। এই মাল ফেনি, চাকতাই ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অসাধু চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত গলিয়ে নিম্নমানের এসব চিনি দেশে আনতো।
ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “ইন্ডিয়া থেকে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে সরকারি শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিদিনই ৪শ’ থেকে ৫শ’ বস্তা চিনি ঢুকে। ওই চোরাকারবারীদের প্রধান মাসুদসহ তিনজনকে কমলাপুর ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
চোরাপথে আনা এসব চিনি এসআলমসহ অন্যান্য ব্রান্ডের নামে বাজারে বিক্রি করতো তারা।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “ইন্ডিয়া থেকে চিনি এনে তারা কোনো প্যাকেটের গায়ে লেখে ইগলু, কোনোটার গায়ে এস আলম, দেশবন্ধু এবং মেঘনা ফ্রেস। এ দেখে মানুষ বাংলাদেশের চিনি, ভালো চিনি মনে করে কিনে। কিন্তু তারা প্রতারিত হচ্ছে, শিল্প কারখানাগুলো ধ্বংস হচ্ছে।”
সামান্য লাভের আশায় দোকানিদের ক্ষতিকারক ও নিন্মমানের চিনি বিক্রি না করার অনুরোধ জানান গোয়েন্দারা।
এএইচ