ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪,   শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার

‘এসো মিলে প্রাণে প্রাণে,পিঠা-পুলি পার্বণে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব পালন করা হয়েছে। 

আজ বুধবার সকাল নয়টা থেকে দিনব্যাপি কলেজের বাংলা বিভাগের ক্লাস কক্ষে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাহারি রকমের বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমাহার ছিল চোখে পড়া মতো। পিঠা উৎসবে শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়।

কলেজের বাংলা বিভাগের স্টলের ছাত্রী সুরাইয়া বলেন, ‘এবার বিভিন্ন পিঠা নিয়ে স্টল সাজিয়েছি। এর মধ্যে ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, ডিম পিঠা অন্যতম।’

এর সঙ্গে যোগ করে স্টলের আরও দু’জন বলেন, ‘এ ছাড়াও ছিল ঝুলি, মাংস পিঠা, শামুক পিঠা, স‚র্যমুখী, নকশা, পাকন পিঠা। ইতিমধ্যে আমাদের সব পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। পিঠাগুলোর দাম ছিল শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যেই।’ 

উৎসবে অংশগ্রহণ করা অন্য পিঠা স্টলগুলোতেও ছিল পিঠার বৈচিত্র্য। উৎসবে আসা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পিঠা খেয়ে দেখেছেন। প্রতি বছরই এ উৎসব হয়। 

‘আমার কাছে খুব ভালো লাগে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে। শীত এলেই আম্মু পিঠা বানায়। তবে ক্যাম্পাসে এ রকম উৎসবে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা’ পিঠা খেতে খেতে বলছিলেন উৎসবে আসা দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পিয়া।

এই উৎসবের মাধ্যমে বাঙালির ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার আহব্বান পিঠা উৎসব আয়োজকদের। 

পিঠা উৎসবের শুরুতে বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকাসহ এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে যোগ দেয়। র‌্যালি শেষ করে বাংলা বিভাগের পিঠা উৎসবটি শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ,কে,এম সাইফুর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘পিঠা উৎসব হচ্ছে আবহমান বাংলার উৎসব-পার্বণের অবিচ্ছেদ্য ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য পাহাড়ি ও বাঙালি প্রত্যেকের সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান দেয়। পিঠা উৎসবের মধ্যদিয়ে আমরা বাঙালিত্বকে খুঁজে পাই। নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে রাখতে এমন প্রচেষ্টা। এরকম ভিন্ন ধর্মী আয়োজনের মধ্যদিয়ে কলেজে সকল প্রকার সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত থাকবে।’

পিঠা উৎসবের ৫টি স্টলে প্রায় ১৫০ রকম বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমাহার ছিল। উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিল- পিঠাপুলি, পাকান পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেল পিঠা,ফুল পিঠা, ছিটা পিঠা, পাতা পিঠা, বিস্কুট পিঠা, রুটি পিঠা, জামায় ভাজা পিঠা, বউ ভুলানো পিঠা, আপেল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, সামুক পিঠা, চিংড়ি পিঠা, শিউলি ফুল পিঠা, প্রজাপতি পিঠা, ফুল পিঠা, সংসার পিঠা,বাবুই ঝাকা পিঠা,কদম ফুল পিঠা, রিদয়হরণ পিঠা প্রভৃতি। 

এই পিঠা উৎসবটি বাংলা সাহিত্য ও বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মহাকবি মাইকেল মধুসুধূদন দত্তের জন্ম দ্বি-শতবর্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে।

এএইচ