ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২

রপ্তানি-রেমিট্যান্সে সুখবর, স্বস্তি এলো অর্থনীতিতে (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:১১ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাত থেকেই এলো সুখবর। বছরের প্রথম মাসে রপ্তানি বেড়েছে; রেমিট্যান্সও এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য স্বস্তিকর। তবে গতিশীলতা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। 

রিজার্ভ ধরে রাখা নিয়ে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূচকই ইতিবাচক। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বেড়েছে রেমিট্যান্স। মাঝারি ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে রপ্তানিতে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি বলছে, গেল জানুয়ারি মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে দেশ আয় করেছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে দেশে থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের। 

এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় উৎস রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ১১ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের শেষ মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৯ কোটি ডলার। গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ১৯৩ কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা তিন মাস রেমিট্যান্স বাড়লো। 

গত বছর বিদেশে গেছেন রেকর্ড ১৩ লাখ ৫ হাজার। আগের বছর যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। ২০২৩ সালে প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী বেশি গেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ছে না প্রবাসী আয়। তাই রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বিনিময় হার আকর্ষণীয় করার পাশপাশি হুন্ডি ঠেকানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। 

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ফিলিপাইনের ২.২ মিলিয়ন লোক বাইরে আছে এবং তারা টাকা পাঠায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের ১১-১২ মিলিয়ন বাইরে আছে কিন্তু তারা টাকা পাঠায় ২০-২১ বিলিয়ন ডলার। তারা টাকা ঠিকই পাঠাচ্ছে। সেই টাকা গ্রামে যাচ্ছে কিন্তু ঢাকা থেকে নির্দেশের মাধ্যমে ডলারটা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।”

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আর এটা সম্ভব হলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে বলছেন বিশ্লেষকরা।

এএইচ