ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

খুঁড়িয়ে চলছে দেশের হাসপাতালগুলোর ফরেনেসিক বিভাগ (ভিডিও)

দিপু সিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার

বছরের পর বছর ধরে খুঁড়িয়ে চলছে রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর ফরেনেসিক বিভাগ। তৈরি হচ্ছে না কাঙ্খিত সংখ্যক চিকিৎসক। জটিলতা দেখা দিচ্ছে ময়নাতদন্তসহ মামলা নিষ্পত্তিতে।

উন্নত দেশগুলোতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। এই বিভাগের চিতিৎসকদের সহায়তায় হত্যা, ধর্ষণের মতো অনেক জটিল অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন হয়।

আছে প্রশিক্ষিত শিক্ষক, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ল্যাব। উচ্চতর প্রশিক্ষণসহ আছে নানান সুবিধা। ফলে সেসব রাষ্ট্রে এ বিষয়ে দক্ষ চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে।

আর দেশে আশঙ্কাজনকহারে কমছে এ বিভাগে চিকিৎসক তৈরির সংখ্যা। যার কারণে দেশব্যপী ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরও সংকট তীব্র।

রাঙ্গামাটি সরকারি হাসপাতালে হতাশাজনক লোকবল নিয়ে চলছে এই বিভাগটি। প্রায় কাছাকাছি সংকটে ভুগছে নোয়াখালী সরকারি হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগও।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরও একই চিত্র। কম লোকবল, তাই ময়নাতদন্ত নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। লাশ সংরক্ষণের জন্য নেই পর্যাপ্ত ফ্রিজ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আ.ম. সেলিম রেজা জানান, এটা খুবই ইন্টারেস্টিং এবং ইমপরটেন্ট সাবজেক্ট। কারণ এটার সাহায্যে আমরা সরাসরি বিচারকে সাহায্য করি। আমাদের দেশেই শুধুমাত্র অবহেলিত।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলেও এই বিভাগে রয়েছে হতাশার সুর। তুলনামূলক ছোট কক্ষগুলোতে কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ে জানান এখানকার কর্মরতরা। 

এই বিভাগের প্রধান ডা. কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, "ফ্রিজাপের পর ক্যামিকেল এ্যনালাইসিসের জন্য আমরা নমুনা সিআইডি ল্যাব মহাখালিতে পাঠিয়ে দেই। সেখান থেকে রিপোর্ট পেতে আমাদের এক থেকে তিন মাস সময় লেগে যায়। যদি ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের অধিনে ল্যাবের ব্যবস্থা করতে পারি, হিস্টোপ্যাথলজির জন্য হিস্টোপ্যাথলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া যায় এবং একটা আলাদা প্যাথলজি ল্যাব থাকে, একটা ক্যামিকেল ল্যাব থাকে আথবা ডিএনএ ল্যাব যদি ফরেনসিক মেডসিনের অধিনে দেওয়া হয় তাহলে আমি মনে করি সেক্ষেত্রে রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি পেতে পারেন।"

তবে চিকিৎসক তৈরি না হওয়ার বিষয়টি সমাধানে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, "ঝুকিপূর্ণ এলাকা দেখেই এই সাবজেক্টে অনেকেই যেতে চায় না। সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বেসিক সাইন্স বাংলাদেশে মেডিকেলে প্রফেশনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে শিক্ষকের সংখ্যা কম। ফরেনসিকও একটা বেসিক সাইন্সের জিনিস। আমি কাজ করব এটা নিয়।"

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসাখাতের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানান চিৎিসকরা। 

এমএম//