ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

জীবনের গল্প- দেখা অদেখা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

দেখা অদেখা এমন সব মানুষ এবং তাদের জীবনের গল্প যা আমাদের আশেপাশে প্রায়ই ঘটে চলেছে, কিন্তু আমরা চোখ থাকতে তা দেখতে পাইনা। কান পেতে শুনতে পাই না অথবা ঠিক চাইও না। এই গল্প এমন কিছু অমানুষের যারা মানুষ হয়ে বাঁচতে চেয়েছিল, অথবা অরুন্ধতী নামে অভিমানী মেয়েটার যে তার ভালোবাসার মানুষকে আরেকটিবার দেখার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের মাটিতে এপার ওপার ছুটে গিয়েছিলো।

এই বইয়ে লেখক এক পিতার কথা বলেছে যে তার মেয়ের ছোট্ট হাতদুটো আরেকবার ছুঁয়ে দিতে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আকুতি জানিয়েছিলো। এমন সব মানুষের এক জীবনের ভালোবাসা, করুণা, ঘৃণা, নির্মমতার আকুতি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতেই এই বইটি লেখা হয়েছিলো। বইয়ে বর্ণিত একটি চরিত্রও কাল্পনিক নয়।

সাদ আহাম্মেদ পেশায় নয়, শখের বসে লেখালিখি করেন। লেখালিখির সূচনা বহু বছর আগে হলেও মাত্র এ বছরই তার একক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কারণ লেখক বিশ্বাস করেন, বই যতটা লেখকের ততোটাই পাঠকের। তাই নিজেকে লেখক হিসেবে যোগ্য ভাবার পরেই তিনি এই বইটি প্রকাশে সম্মত হয়েছেন। লেখক পেশায় একজন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী, বর্তমানে জার্মানীর জিগেন শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতার সাথে জড়িত। লেখকের ভাষ্যমতে, তিনি বানিয়ে বানিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে রূপকথা লেখেন না। তিনি লেখেন যখন তার লেখার চরিত্রগুলো আর তাদের জীবনকে অনুভব করতে পারেন। আমাদের নিজেদের না বলা যে কথাগুলো দিনশেষে হারিয়া যায়, অব্যক্ত অনুভূতিগুলো যেগুলো চাইলে কাউকে বলা যায়না, বুঝতে দেয়া যায়না, সেটাই লেখকের প্রতিটি লেখার উপজীব্য।

এমএম//