ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

শব্দদূষণের মাত্রা দ্বিগুণ, শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে নগরবাসী (ভিডিও)

শিউলি শবনম

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

কী বাণিজ্যিক আর কী সংরক্ষিত- রাজধানীর সব এলাকার শব্দদূষণই গ্রহণযোগ্য মাত্রার দ্বিগুণ। যা সর্বোচ্চ শব্দ দূষণকবলিত এলাকার কাছাকাছি। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাগরিকদের শ্রবণশক্তি। সমাধানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ গবেষকদের। 

সামনে সিগন্যাল পড়লেও ঢাকার প্রায় সব মোড়েই দেখা মিলবে অকারণে তীব্রস্বরে হর্ন দেয়ার প্রবণতা। গবেষকরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পুরো নগরীই পরিণত হয়েছে আস্ত এক শব্দ বোমায়! 

শব্দদূষণ বিধিমালায় বাণিজ্যিক এলাকায় ৬০ ডেসিবল আদর্শ শব্দের মানমাত্রা থাকলেও পল্টন মোড়ে গড় মাত্রা ১০৫ ডেসিবলের উপরে। যা সর্বোচ্চ ১২৫ ডেসিবল পর্যন্ত তীব্র হয়। পিলখানা, মিন্টুরোড কিংবা হাইকোর্টের মতো সংরক্ষিত এলাকায়ও মাত্রা ৮০ ডেসিবলের উপরে। যেখানে থাকার কথা ছিল ৪০ ডেসিবলের নিচে।

ঢাকার ৭৭টি সড়কের সংযোগস্থলের শব্দদূষণ পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য পায় বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপস। 

গবেষকরা বলছেন, এমন উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ শ্রবণশক্তি কমানোর পাশাপাশি নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বধির করে দিতে পারে। মানসিক চাপ, বিষণ্নতা ও স্নায়ুতন্ত্রের উপর চাপসহ হৃদরোগীর জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ।  

ক্যাপস প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “কম শব্দদূণের জায়গাগুলোতেও জাতীয় মানমাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিন গুন বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে। ১০০ ডেসিমেলের উপরে কোনো জায়গায় যদি শব্দদূষণ তৈরি হয় সেখানে কোনোভাবেই ৪ ঘণ্টার বেশি অবস্থান করা যাবেনা। অথচ পল্টনে যে ট্রাফিক ভাইয়েরা দায়িত্ব পালন করছেন এবং অন্যান্য যারা হকার ও স্থানীয় লোকজন যারা ওখানে চলাচল করে তারা এই বেশি মাত্রার শব্দের মধ্যে থাকেন।”

শব্দদূষণ কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক পদ্ধতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও ডিএমপির মাঝে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ তাদের।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “আমাদের ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম করা আছে, শুধুমাত্র এটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং দায়িত্বহীনতার কারণে এর সুফল নগরবাসী পাচ্ছেনা। ডিএমপির কাছে এই ট্রাফিক সিস্টেমের দায়িত্ব দেয়া উচিত। কারণ তারাই রাস্তায় এটি কার্যকর করতে পারে।”

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি-ইএনএপি’র প্রতিবেদনেও শব্দদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রাজধানী ঢাকার নাম। 

এএইচ