ঢাকা, বুধবার   ২২ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

পঞ্চায়েত মধ্যস্থতায় ধর্ষণচেষ্টার আসামির মুক্তি, আদালত অবমাননা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৯ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের তান্ডলিয়ানওয়ালায় ১২ বছরের এক কিশোরকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার একটি উচ্চ-পর্যায়ের পুলিশ তদন্ত চালাকালে এফআইআরের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জিরগা বা পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় মামলার সন্দেভাজন ব্যক্তিরা পার পেয়ে গেছেন, যা সুপ্রিম কোর্ট আদেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ডন জানিয়েছে, বিচার ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে খাইবার পাখতুনখোয়ার উপজাতীয় অঞ্চল, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের গ্রামীণ এলাকায় ‘পঞ্চায়েত' বা 'ক্যাঙ্গারু কোর্ট' এর ব্যব্হার নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালে ২০১৯ সালে একটি যুগান্তকারী একটি রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামির মুক্তি সেই আদেশেরই লঙ্ঘন। নির্যাতনের শিকার ছেলেটির বাবা এফআইআরে নাম থাকা মাওলানা আবুবকর মুয়াভিয়ার পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার পরে তাকে এফআইআর থেকে বাদ দেওয়া হয়। চার দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ছেলেটির বাবা মুদাসসার নাজিরকে বলতে দেখা যায়, তিনি খোদার নামে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। একই ভিডিওতে এক পরিচিত ধর্মগুরু উপস্থিত হয়ে বলেন, তিনি নিজেই মামলাটি তদন্ত করেছেন এবং ছেলেটির বাবার সঙ্গেও দেখা করেছেন। ওই মাওলানা বলেন, পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি কোনো শ্লীলতাহানির বিষয় নয়। মুদাসসার নাজিরের সঙ্গে মাওলানা আবুবকর মুয়াভিয়ার উচ্চবাক্য বিনিময় হয়েছে।

এ ঘটনার পর বিষয়টি জাতীয় পরিষদেও তোলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির আবদুল কাদির প্যাটেল। তিনি বলেন, যদি ওই ছেলেটির বাবা মাওলানাও হস্তক্ষেপে অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ যেন অভিযোগ দায়ের করে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেন কাদির প্যাটেল। সূত্রের বরাতে ডন জানিয়েছে, ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ অবগত হলে আইজিপি উসমান আনোয়ারের নির্দেশে মামলাটির পুনঃতদন্ত শুরু হয়। মরিয়ম নওয়াজ আইজিপিকে নির্দেশ দেন নিরপেক্ষ তদন্ত করতে। আসামিকে কেন খালাস দেওয়া হল এবং এ ব্যাপারে মামলা ও পুলিশের ভূমিকা কী, তা খুঁজে দেখতে বলেন। ধর্ষণচেষ্টার অভিযাগ থেকে গত ৩০ মার্চ তান্ডলিয়ানওয়ালা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওমান তাহির মামলা থেকে আবুবকর মাউভিয়াকে অব্যাহতি দেন। যদিও পুলিশ তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে।