ঢাকা, শুক্রবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২২ ১৪৩১

শিশুশ্রম নিরসনে ইপসা`র চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার

শুঁটকি পল্লীর মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে যে সকল শিশুরা কাজ করে তাদেরকে পুনরায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ইপসা সেই চ্যালেঞ্জিং কাজটি করছে৷

ইপসা’র এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার- এমনই মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। তারা বলেন, আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অবশ্যই শিশুশ্রম নিরসন সম্ভব। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের সমিতিপাড়ায়  ইপসা ফ্রি কিডস্ প্রজেক্টের উদ্যোগে এক সভায় একথা বলেন তারা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, কক্সবাজার সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা কৌশিক খান, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হানিফ মিয়া। 

এর আগে সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ইপসা ফ্রি কিডস্ প্রজেক্টের আওতাধীন শিশু ও অভিভাবকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। প্রকল্পের আওতাধীন শিশুদের তারা নানা ধরনের প্রশ্ন করেন ও শিশুদের তাৎক্ষনিক গোছানো উত্তরে মুগ্ধ হন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, শুঁটকি পল্লীর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বাল্যবিয়ের পরিমাণ খুব বেশি। ইপসা যেভাবে শিশুশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছে তাতে এ সেক্টরে বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ হবে বলে আমি আশাবাদী।

শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে ইপসা কাজের যে ধারাটি বেছে নিয়েছে তাকে আমার বেশ বাস্তববাদী মনে হচ্ছে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের আওতায় আনা গেলে শিশুদের ভবিষ্যত পাল্টে দেওয়া সম্ভব। 

সমাজসেবা কর্মকর্তা কৌশিক খান তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা প্রান্তিক মানুষের জন্য দিচ্ছে যা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হয় না৷ এ ব্যাপারে ইপসা আমাদের পাশে থাকতে পারে।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হানিফ মিয়া বলেন, পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শিশুশ্রমিকরা অনেক বেশি চৌকস হয়ে উঠে। সঠিকভাবে গাইড করা গেলে তাদেরকেও মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে সুন্দর ভবিষ্যত দেওয়া সম্ভব।

প্রকল্পের পক্ষে সভা সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার আলী আদনান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফারুক, নয়ন চন্দ্র দাস ও মর্জিনা আক্তার।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ইপসা শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে ইপসা'র ফ্রি কিডস্ প্রজেক্ট।

এএইচ