লক্ষ্মীপুরে অস্থায়ী পশুর হাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থায়ী হাটের ইজারদাররা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:৩৪ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:১৫ পিএম, ১৪ জুন ২০২৪ শুক্রবার

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে লক্ষ্মীপুরের পশুর হাট গুলোতে বেচাবিক্রি বাড়তে শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন জাগায় অস্থায়ী হাট বসানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পৌর গরুর হারের ইজারাদারসহ স্থায়ী বাজার ইজারাদাররা।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে এবছর স্থায়ী ১০টি এবং অস্থায়ী ৫৬টি পশুর হাট বসেছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এ হাট গুলোতে বেচাবিক্রি ততই বাড়ছে। জেলায় এবছর দেশী গরুর পাশাপাশি খামারীদের লালন পালনকৃত গরুও রয়েছে।
ভারতীয় গরু একবারে কম দেখা গেলেও হাট গুলোতে পর্যাপ্ত দেশী গরু রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু আসতে শুরু করেছে হাট গুলোতে।
গরুর হাটগুলো ঘুরে দেখেছেন লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন,"গরুর বাজারে রাতদিন করে আমি ক্রেতা-বেত্রাতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। লক্ষ্মীপুরে এতগুলো অবৈধ গরুর বাজার এগুলো উচ্ছেদ করার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন তারা টাকা পয়সা নিয়ে কোন চাঁদাবাজ ধান্দাবাজ সহ অসাধুচক্রের জালে পরতে না হয়। সেদিকে আমি এইসব চক্রের বিরুদ্ধে সজাগ দৃষ্টি রেখেছি এবং এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এর প্রতি নজরদারি করার অনুরোধ করছি। ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে অবৈধভাবে গরুর হাট বসছে স্কুল কলেজ মাঠে এবং রাস্তার পাশে এগুলো আইনের আওতা পড়ে না। তাই আমি আমাদের সাথে এক বৈঠকে গরুর হাটের বিষয় নিয়ে ডিসি মহোদয়, ও পুলিশ সুপার মহোদয় আইনশৃঙ্খলা থাকা সকলের সাথে গরুর হাট নিয়ে এক মত বিনিময় সভা হয়েছে। সেখানে আমি বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি।"
তিনি আরও বলেন, " মানুষ যেন নিরাপদে গরুর বাজারে বেচাকেনা করতে আসতে পারে সেটি আমি নিশ্চিত করেছি। এই জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি সারাক্ষণ গরুর বাজারের তদারকি করে যাচ্ছি।"
পৌর গরুর হাট ইজারাদার মোঃ মঞ্জু বলেন, "আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি অস্থায়ী গরুর হাটের কারণে। এতে করে আমরা স্থায়ী গরু বাজারের ইজারাদারগণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।"
এমএম//