ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

বাংলাদেশে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে কেয়ার 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ২৯ জুন ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ২৯ জুন ২০২৪ শনিবার

বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নেতৃস্থানীয় মানবিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।  ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটির সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সাত দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।

কেয়ার বাংলাদেশ এর ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাশ প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে কেয়ার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৪৯ সালে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নানা আয়োজনে সংস্থাটি আজ বাংলাদেশে কার্যক্রমের ৭৫ বছর উদযাপন করছে। সকালে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাশ প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান কেয়ারের কার্যক্রমসমূহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ, বিশেষ করে নারীদের চাহিদার উপর অগ্রাধিকার দেয় । 

তিনি বলেন ২০২৩ অর্থবছরে কেয়ার বাংলাদেশ ৪৮টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ লাখ (৫.৩ মিলিয়ন) মানুষের কাছে পৌঁছেছে যেখানে ৬৪% ছিল নারী এবং ব্যাপ্তির দিক থেকে কেয়ারের কার্যক্রম রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ ২য় সর্বোচ্চ অবদানকারী হিসাবে স্থান পেয়েছে। 

রাম দাশ আরো জানান, ২০২২ অর্থবছরে কেয়ার ৬৯১টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের ৬৮টি দেশে কাজ করেছে এবং ২ কোটিরও (২৫.৪ মিলিয়ন) বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

বিকেলে কেয়ার বাংলাদেশ ঢাকা অফিসে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সংস্থাটির কর্মীদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজনে ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করা হয়। এ সময়, কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশেল নান অনলাইনে অংশনিয়ে বাংলাদেশে তার সকল সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।

এসময় ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনের সূচনা উপলক্ষ্যে কেয়ার বাংলাদেশের বিশেষ লোগো উন্মোচন করা হয়। উপস্থাপন করা হয় কেয়ার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল, নতুন ব্র্যান্ড গাইডলাইন এবং আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।