ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৬ ১৪৩২

শর্ত দিয়ে সয়াবিন তেল বিক্রি, কারসাজিতে নামিদামী প্রতিষ্ঠান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

তেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের তেলেসমাতি কাণ্ডে সরকারের আমদানি শুল্কছাড় কোনো কাজেই আসছে না। এতে দিন দিনই ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠছে। 

জানা গেছে, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোজ্য তেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম কমার কথা থাকলেও সেই চিত্র কোথাও নেই। 

ভোজ্য তেল প্রক্রিয়াজাতকারী করপোরেট কোম্পানিগুলো খুচরা বিক্রেতাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য নিতে বাধ্য করছে। অর্থাৎ কোনো কোম্পানির ভোজ্য তেল ছাড়াও যদি আটা, ময়দা, সুজি বা চিনি থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দোকানদারদের এর মধ্যে কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্যটি কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর দোকানদার তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কোম্পানির তেল তাদের দেওয়া হচ্ছে না। 

একই প্রক্রিয়ায় দোকানদার খুচরা ক্রেতাদের তেল কোম্পানির অন্য যেকোনো একটি পণ্য নিতে বাধ্য করছেন। ক্রেতা সেসব পণ্য নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ইউসুফ স্টোরের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ জানান, শর্ত দিয়ে তেল বিক্রি করতে গেলে কাস্টমারের সঙ্গে আমাদের বাগ্মিতায় জড়াতে হয়। এতে করে ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট হয়। তবে শর্তপূরণ না করলে কোম্পানিগুলো আমাদের তেল দিচ্ছে না। এতে বাজারে একধরনের সংকট তৈরি হয়েছে।

কারা আপনাদের এসব শর্তে জড়াচ্ছে জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, ফ্রেশ, পুষ্টি, তীরসহ প্রায় সব কোম্পানিই শর্ত দিয়ে তেল সাপ্লাই দিচ্ছে। তাতে এক কার্টন তেলের সঙ্গে এক বস্তা আটা, সুজি ও চিনি আমাদের কিনতে বাধ্য করছে। কিন্তু আমরা তো ক্রেতাদের কাছে এভাবে বিক্রি করতে পারছি না। তখন আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেশি নিচ্ছি।

এসএস//