মিশরের কায়রোতে ভবনধসে ১০ জনের মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার

মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি আবাসিক এলাকায় একটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পরে এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পরে এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে ভবনটি ধসে পড়েছে।
দেশটির আল-আখবার আল-ইয়ুম পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। সেখানে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ থেকেই ওই ভবনটি ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কায়রোতে ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে অনেক সময়ই ভবনের নীতিমালাগুলো সঠিক ভাবে পালন করা হয় না। গত কয়েক বছরে এই শহরে বেশ কয়েকটি ভবনধসে পড়েছে। জরাজীর্ণ অবস্থা এবং নিয়মনীতি মেনে না চলার কারণেই এসব মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রাজধানী কায়রোতে একটি ছয়তলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় আটজন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় আরও তিনজন।
সে সময় রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম জানায়, ১৯৬০ এর দশকে নির্মিত ভবনটি পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৯৩ সালে তৎকালীন জেলাপ্রধান একটি আদেশ জারি করেছিলেন। কিন্তু ওই ভবনের বাসিন্দারা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন এবং এটি কার্যকর করা হয়নি।
১৯ এবং ২০ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত মধ্য কায়রোর বহু সংখ্যক ভবন এখনও পুনরুদ্ধার করা হয়নি। ফলে সেখানে অনেক ভবনই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এমবি//