ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১১ ১৪৩২

৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার

প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

আজ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার পাপুয়া নিউগিনিতে ৭ দশমিক ও ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। 

ইউরোপভিত্তিক ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৪৯ কিলোমিটার (৩০ দশমিক ৪৫ মাইল)।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল দেশটির ওয়েস্ট নিউ ব্রিটেন প্রদেশের রাজধানী কিম্বে শহরের ১৯৪ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত পোমিও জেলায়।

প্রথম ধাক্কা কাটার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে অন্তত ৪টি ‘আফটার শক’ অনুভূত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। ভূকম্পনের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল ইউএসজিএস, তবে পরে তা প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।

ভূমিকম্পের ফলে পাপুয়া নিউগিনিতে এখনো নিহত বা আহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্প একেবারে বিরল দুর্যোগ নয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ বা ‘আগ্নেয় মেখলা’ টেকটনিক প্লেটের ওপর অবস্থানই দেশটিতে ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হিসেবে পরিচিত।

এর আগে গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৩৩৫৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।

এএইচ