ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১২ ১৪৩২

সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার

উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলোর বঙ্গোপসাগরে যে কোন প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বহাল থাকবে।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এসময় জেলেদেরকে ৭৮ কেজি করে চাল দেবে সরকার। 

ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান,ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলেরা আজ ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এসময়টাতে সরকার তাদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে। 

তিনি জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক  প্রজ্ঞাপনে সরকার বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮  দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোষ্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাষ্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

তথ্য মতে, ভোলায় সরকারের নির্ধারিত তালিকার বাইরেও সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে বলে দাবি করেছেন মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে সমিতির নেতারা। 

ভোলা সদর ইলিশা মৎস্য সমবায় সমিতির  সাধারণ সম্পাদক মো: বাদশা মিয়া জানান, ভোলা হতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রকৃত জেলের সংখ্যা এক লাখের উপরে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এসব জেলেদের সরকারী প্রণোদনা দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

আজ সকালে ভোলার মেঘনাপাড়ের তুলাতিলি নামক এলাকার জেলে পল্লীতে গিয়ে কথা হয় সমুদ্রগামী জেলে মহব্বগ মাঝি, রুস্তম আলী ও কালিমুল্লাহ মাঝির সঙ্গে। তারা জানান, বিগত সরকারের সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারী চাল তাদের ঠিক মতো দেয়া হতোনা। তবে সেই আশঙ্কা এখন আর না থাকায় এবার নিষেধাজ্ঞাকালীন তারা চাল পাবেন বলে আশা করছেন।

এএইচ