ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩২

শেষ সেশনে ব্যাটিং বিপর্যয়, অস্বস্তিতে দিন শেষ বাংলাদেশের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে হঠাৎ ছন্দপতনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১ রান, যা জিম্বাবুয়ের চেয়ে ৬৪ রানের লিড।

অথচ শুরুটা কী দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে আউট করে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস মুড়িয়ে দেন তাইজুল। এরপর সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের সৌজন্যে ৩৩ ইনিংস ও ২৮ মাস পর টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১৮ রানে এনামুলের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুল হককে নিয়ে আরও ৭৬ রান যোগ করেন সাদমান। তিনি পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে দলকে ১৯৪ রানে রেখে মুমিনুল–সাদমান দুজনই আউট হন। তবু বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল। কারণ, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম মিলিয়ে গড়েন আরেকটি ৫০ পেরোনো জুটি।

২৩ রান করে শান্ত আউট হলে বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি মুশফিক। ৪০ রান করে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি। তার আগেই ৫ রান করে ফিরে গিয়েছিল জাকের আলী। এরপর মাত্র ৩ রান করে আউট হন নাঈম হাসান। আর এতেই দিনশেষে ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে বাংলাদেশ।

দুই পেসার নিয়ে এই টেস্টে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ— বোলিং ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল তাদের দিয়ে। শুরুর সুবিধা কাজে লাগালেও তারা খুব আশা দেখানো কিছু করতে পারেননি। টেস্ট অভিষেক হওয়া তানজিম হাসানই অবশ্য এনে দিয়েছিলেন প্রথম উইকেট, সেটিই তার একমাত্র। আরেক পেসার হাসান মাহমুদ উইকেটশূন্য। মূল কাজটা করেছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

জমাট বেঁধে যাওয়া জুটি ভেঙে নাঈম দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তাইজুল এরপর নিয়েছেন ৬ উইকেট। গতির সঙ্গে টার্নের মিশেলে সফল তারা। আর তাদের এই ঘুর্ণিতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৭ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ইতিমধ্যে লিড নিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। কাল সকালে দ্রুত বাংলাদেশের শেষ ৩ ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশের লিড কম রানের মধ্যে আটকানোর চেষ্টা করবে জিম্বাবুয়ে। 


এমবি//