কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ১৪
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩২ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের এক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ শিশুসহ ১৪ জন মারা গেছেন। ধোঁয়ার কারণে হোটেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢুকতে বেগ পেতে হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার সকাল ৮টায়ও উদ্ধার কাজ চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইঞ্জিন। প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তা পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
নিহতদের মধ্যে আনন্দ পাসোয়ান নামে একজন আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছে দুই শিশুও।
প্রবল ধোঁয়ার কারণে কার্যত হোটেলটি ‘গ্যাসচেম্বার’-এ পরিণত হয়। যার ফলে হোটেলের ভিতরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঢুকতে পারছিলেন না। তারা মই দিয়ে চার ও পাঁচ তলার ঘরের জানলা ভেঙে সেখানে দিয়ে হোটেলের ভেতর প্রবেশ করেন।
হোটেলে যারা আটকে ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই প্রবল ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে মারা যান বলে জানা যায়।
কী ভাবে আগুন লাগল সেটি তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা।
আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েকজন হোটেলের কার্নিশে চলে আসেন। দমকলের মই দিয়ে তাদেরকে নামানো হয়েছে। হোটেলে ছিলেন রাজ্যের এবং ভিন্রাজ্যের বাসিন্দারা। হোটেলে কমপক্ষে ৪৭টি কক্ষ ছিল। প্রায় প্রত্যেকটি কক্ষ ভর্তি ছিল।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং বিধান সরণির সংযোগকারী এই রাস্তাটি বেশ ঘিঞ্জি। যে হোটেলে আগুন লেগেছে তার আশপাশে প্রচুর দোকান ও বাড়ি রয়েছে। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
এদিকে, ঘটনাস্থলে ভোর ৩টা পর্যন্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা এবং রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ