ভারত কঠিন করলেও বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ৪ মে ২০২৫ রবিবার

প্রতিবেশী দেশ ভারত চিকিৎসা ভিসা পেতে নানা শর্ত ও জটিলতা আরোপ করলেও বাংলাদেশের রোগীদের জন্য সেই প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর করছে চীন। এরইমধ্যে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধামূলক ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। এই ব্যবস্থার অধীনে চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদনকারীদের নথিপত্রের প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রদানের জন্য ‘গ্রিন চ্যানেল’ সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে।
চীনা দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস চীনে চিকিৎসা ভিসার জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করেছে। এ সুবিধার আওতায় ডকুমেন্টেশন বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বৈধ ব্যবসায়িক লাইসেন্সধারী স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো চীনে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক ভ্রমণকারীদের জন্য ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট ও আত্মীয়তার প্রমাণ সংক্রান্ত গ্যারান্টি লেটার ইস্যু করতে পারবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সার্টিফিকেটগুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এজন্য একটি ডেডিকেটেড ‘গ্রিন চ্যানেল’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। দূতাবাস ও ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস সেন্টার (বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অবস্থিত প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারের তৃতীয় তলায়) চিকিৎসা ভিসা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার জন্য ডেডিকেটেড হটলাইন চালু করেছে। দূতাবাসের নম্বরগুলো হলো– ০২২২২২৬০১০৩, ০১৭০৮৪৬৪৮০৯। ভিসা সেন্টারের নম্বর– ০২২২১২৮০৩২৬১। এ ছাড়া ভিসা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার জন্য ০১৮৮৫০৪১৩৬৪ নম্বরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভিস গ্রুপও খোলা হয়েছে।
অনলাইন আবেদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং জমা দেওয়ার পরপরই সেগুলো দ্রুত যাচাই করা হবে। ভিসা সেন্টারে মেডিকেল ভিসার জন্য একটি ডেডিকেটেড কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে আবেদনকারীরা অপেক্ষা না করে তাদের কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরি মেডিকেল কেসগুলো একটি ‘গ্রিন চ্যানেল’ সেবা পাবে এবং একই দিনে ভিসা ইস্যু করা হবে।
মেডিকেল ভিসার আবেদনকারীদের যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত আছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে এবং লাইনে দাঁড়াতে হবে না। যদি স্বাস্থ্যগত কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকা সম্ভব না হয়, তাহলে ট্রাভেল এজেন্সির গ্যারান্টি লেটারের মাধ্যমে রিমোট ইন্টারভিউ বা দূরবর্তী সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
এমবি//