আজ বিশ্ব গাধা দিবস, ঠাট্টা নয়, এবার হোক সম্মান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ৮ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৪৩ পিএম, ৮ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার

মানুষ যখন কাউকে বোকা বা ছোট করে বলতে চায়, তখন প্রায়ই এক অবলা প্রাণীর নাম টেনে আনে, গাধা। অথচ ইতিহাসের পাতায়, বাস্তব জীবনে ও গ্রামীণ জীবিকার চিত্রে এই প্রাণীটির রয়েছে অসামান্য অবদান। সেই গাধাকেই ঘিরে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস।
গাধা, যাকে অনেকেই কটাক্ষের প্রতীক মনে করেন, সে-ই যুগ যুগ ধরে মানুষের পরিশ্রমে অংশীদার হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি পথ বেয়ে মালামাল টেনে নেওয়া হোক, কিংবা দুর্গম এলাকায় মাল পরিবহন, গাধা সবসময় ছিল নির্ভরতার প্রতীক। অল্প খেয়েও অসীম শক্তি নিয়ে দিনভর খেটে যাওয়া এই প্রাণীটি আসলে এক নিঃশব্দ পরিশ্রমিক।
বিশ্বব্যাপী গাধার এই অবদানের স্বীকৃতি দিতেই প্রতিবছর ৮ মে পালিত হয় বিশ্ব গাধা দিবস। এই দিনে গাধাদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় সমাজে, যাতে অবহেলিত এই প্রাণীটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়।
২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস। এই দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।
বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করার মাধ্যমে পশুর প্রতি যত্নশীল হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এই বিস্ময়কর প্রাণীটি যেন আমাদের গ্রহে বহু বছর ধরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন করে তোলে এ দিবস। বিশ্ব গাধা দিবস আমাদের এই প্রাণীটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করতে উৎসাহিত করে। গাধার বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হলো তাদের বড় কান রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা দূর থেকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এই দিনটি উদযাপন করে মানুষ গাধার বিভিন্ন আকর্ষণীয় তথ্য জানতে পারে।
বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপনের অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আকর্ষণীয় উপায় রয়েছে, যেগুলো আপনি দিনটি উদযাপনে চেষ্টা করতে পারেন। সেগুলো হলো—
একটি উপায় হলো গাধার ইতিহাস এবং আমাদের সমাজে এর ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানা। এই শক্তিশালী প্রাণী সম্পর্কে কিছু গবেষণা করতে পারেন। গাধা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন বই পড়তে পারেন অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেও জানতে পারেন বহু চমকপ্রদ তথ্য।
উদযাপনের আরেকটি উপায় হলো গাধায় চড়া। বহু বছর আগে গাধা ছিল পরিবহণের একটি উপযোগী মাধ্যম। এটি গাধায় ধীর যাত্রার অভিজ্ঞতা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া গাধার তত্ত্বাবধানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন, যা এই বিস্ময়কর প্রাণীটির যত্নে সহায়তা করে। অনেক সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যা করে থাকে। তাদের অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন হয়। আপনার দান করা অর্থ প্রাণিটিকে আরও যত্নে রাখতে পারে।
এমবি//