ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৬ ১৪৩২

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ৯ মে ২০২৫ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ৯ মে ২০২৫ শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ মে) ভোর পৌনে ৬টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় তার নিজ বাসভবন চুনকা কুটির থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে হাজার হাজার এলাকাবাসীর বাধার মুখে পুলিশ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশের একটি দল দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাসভবন চুনকা কুটিরে প্রবেশ করে। এ খবর শুনে চারদিক থেকে হাজার হাজার এলাকাবাসী তার বাড়ির সামনে এসে ভিড় করে। বাড়ির প্রধান ফটক অবরোধ করে তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেয়।

আইভীর বাড়ির প্রবেশ পথের দুই রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। আশেপাশের ৪টি সড়ক তারা অবরুদ্ধ করে রাখে। এছাড়া আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।

পুলিশ আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি টিম আইভীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তবে আইভী রাতের সময় গ্রেপ্তার করার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানায়। বরং সকালে তাকে দিনের আলোতে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায়। সেই অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আমি অপরাধী। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ২১ বছরের সেবায় কোন দল কিংবা ব্যক্তিকে আঘাত করার মতো কিছু কখনো করিনি। যখনি নারায়ণগঞ্জে হত্যাকান্ড ঘটেছে তখনি প্রতিবাদ করেছি। কোন অপরাধ না করে অপরাধী হিসেবে আমাকে গ্রেপ্তার করা বৈষম্য বলে দাবি করে তিনি বিগত সময়ের মতো নারায়ণগঞ্জবাসীকে পশে থাকার আহবান জানান। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে মেয়র যেতে রাজি হননি। তিনি দিনের আলোতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করার পর থেকে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। 

এমবি//