ঢাকা, সোমবার   ১২ মে ২০২৫,   বৈশাখ ২৯ ১৪৩২

ভারতীয় মিসাইল থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ৭ কিইউ ও অজি ক্রিকেটার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ১১ মে ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০৯:৩৯ পিএম, ১১ মে ২০২৫ রবিবার

ওয়ালপিন্ডিতে নূর খান এয়ারবেইজ লক্ষ্য করে ভারতের মিসাইল হামলায় নিহত হতে পারতেন পিএসএল খেলতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার চার ক্রিকেটার। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন পাকিস্তানে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। 

এছাড়া ওই বিমানে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলের আরও তিন ক্রিকেটার। 

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক টম ডিসেন্টের এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের পাকিস্তান থেকে বেঁচে ফেরার গল্পটা। যেখানে বলা হয়েছে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ধরতে খানিক দেরি করলেই নূর খান এয়ারবেইজে চালানো হামলায় আক্রান্ত হতে পারতেন মিচেল ওয়েন, শন অ্যাবট, বেন ডরউইচ এবং অ্যাস্টন টার্নাররা। 

অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান এয়ারবেইজ থেকেই দুবাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় এবং অন্যান্য বিদেশি অফিসিয়ালদের বহনকারী বিশেষ চাটার্ড বিমান। সেই বিমান আকাশে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পরেই সেখানে মিসাইল হামলা চালানো হয়।

গতকাল শনিবার সকালে সেই হামলা পরিচালনা করেছিল ভারতীয় বাহিনী। 

তবে শুধু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাই না। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, একই বিমানে ছিলেন নিউজিল্যান্ড দলের তিন তারকা কেইন উইলিয়ামসন, মিচেল ব্রেসওয়েল এবং কাইল জেমিসনের মতো তারকারা। তবে সেই বিমানে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া জানা যায়নি। এছাড়া আরেক অজি ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার আগেই পাকিস্তান ছেড়ে গিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে। 

পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নূর খানে হামলার কারণে বেশকিছু বিস্ফোরণ এবং আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। সেইসঙ্গে সুরক্ষিত এই স্থানে হামলার কারণে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। 

যদিও শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই দুবাইয়ে পৌঁছে যান অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। সেখান থেকেই পিএসএল আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান ক্রিকেটাররা। যদিও তাদের যাবতীয় সামগ্রী এখন পর্যন্ত পাকিস্তানেই রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম। 

উল্লেখ্য, পাকিস্তান রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান এই নূর খান এয়ারবেইজের। পাকিস্তানের সামরিক সদরদপ্তরের খুব নিকটে অবস্থিত এই এয়ারবেইজকে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের ঘর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অধীনে থাকা c-170, IL-78 সহ আরও অনেক যুদ্ধবিমানের ঠিকানা এই এয়ারবেইজ। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এখানেই থেকেই উঠিয়ে নেয়া হয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। 

এসএস//