ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

ট্রাম্পের যে হুমকিতে থেমে যায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭ এএম, ১৩ মে ২০২৫ মঙ্গলবার

ভারত-পাকিস্তান লড়াই বন্ধ না করলে দুই দেশের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এতেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের দুটির মধ্যে একটি বিপজ্জনক যুদ্ধের অবসান ঘটে।

সোমবার হোয়াইট হাউসে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "শনিবার আমাদের প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তাৎক্ষণিক ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে। আমি মনে করি, এটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। এর ফলে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে একটি বিপজ্জনক যুদ্ধের অবসান ঘটেছে”।

তিনি বলেন, "উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছিল এটি সহজে থামবে না। তবে আমি খুবই গর্বিত যে ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্ব পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। আমরা এতে সাহায্য করেছি”।

বক্তব্যে ট্রাম্প এটিও বলেছেন যে, তিনি বাণিজ্য ও শুল্কের মাধ্যমে এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, "আমি বলেছিলাম তোমাদের সাথে আমরা অনেক ব্যবসা করব। চলো লড়াই বন্ধ করি। যদি তুমি এটা বন্ধ করো, আমরা ব্যবসা করব। অন্যথায় আমরা তোমাদের সাথে কোন ব্যবসা করব না”।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসময় আরও বলেন, “তখন তারা থামতে রাজি হলো। তারা বিভিন্ন কারণে থেমে গিয়েছিল। তবে বাণিজ্য ছিল একটি বড় কারণ”।

"আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সাথে প্রচুর পরিমাণে বাণিজ্য করব। আমরা ভারতের সাথে বাণিজ্য (এবং শুল্ক) নিয়ে আলোচনা করছি। পাকিস্তানের সাথেও শীঘ্রই আলোচনা করব আমরা" বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প বলেন, "আমরা পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করিয়েছি। এটি একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারত। যাতে লাখ লাখ মানুষ মারা যেত। আমি এতে খুবই গর্বিত যে আমেরিকা যুদ্ধ বন্ধ করেছে।"

এর ফলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে ভারত-পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করতে চলেছিল। এমন অবস্থায় দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।

এএইচ