মধ্যরাতে বিএসএফের ৭৫০ জনকে পুশ-ইনের চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি-জনতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৬ মে ২০২৫ শুক্রবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার (পুশইন) চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় শতাধিক মানুষ বাধা দিলে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, পুশ-ইনের বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন দ্রুত সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে মসজিদে মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বানের মাধ্যমে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী গ্রামের মানুষ সীমান্তে জড়ো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শতাধিক মানুষ সীমান্তে অবস্থান নিলে বিএসএফ পিছু হটে এবং কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা এলাকায় মাইকিং করি। গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গেলে বিএসএফ পিছু হটে।
একইভাবে ইউনিয়নের আরেক সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, বিএসএফ একপ্রকার গোপনে পুশ-ইন করতে এসেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতি ও বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।
বিজয়নগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি ও প্রশাসন।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনার পর সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটেনি।
এসএস//