৭ মাস তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন নোবেল, ৯৯৯ কলে উদ্ধার: পুলিশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২০ মে ২০২৫ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ২০ মে ২০২৫ মঙ্গলবার

তরুণীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে পুলিশ বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে নোবেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান।
তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডেমরা থানা পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং নোবেলের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হতো। গত বছরের নভেম্বরে গুলশানে দেখা করার কথা বলে ওই তরুণীকে ডেকে নেন নোবেল। পরে তাকে ডেমরার একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে টানা সাত মাস আটকে রাখেন। এই সময় তিনি ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নোবেল এক তরুণীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাচ্ছেন। ওসি জানান, ভিডিওটি দেখার পর মেয়েটির বাবা-মা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে বিস্তারিত জানতে পারেন। পরে তারা ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।
সোমবার রাত ১০টার দিকে ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান নোবেল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে ডেমরা এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মাহমুদুর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে নোবেল দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এজন্য তিনি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে আটক করা সম্ভব হয়।
নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানার ওসি। তিনি বলেন, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগেও মামলা হয়েছে।
নোবেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এএইচ