সারজিসকে লিগ্যাল নোটিশ, ক্ষমা না চাইলে মামলার আল্টিমেটাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ২৪ মে ২০২৫ শনিবার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্চ আদালতের মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন এ নোটিশ দেন।
নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রেস কনফারেন্স করে দুই ঘণ্টার মধ্যে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবেন।
গত ২২ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেন হাইকোর্ট। এ দিন সকালে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এই রিট করার এখতিয়ার না থাকায় রিটটি খারিজ করা হলো। একইসঙ্গে নির্বাচনী ফোরামের মামলা অন্য ফোরামে না গিয়ে এখানে আসা ঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
ওই দিন বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে সারজিস আলম তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’
ফেসবুক পোস্টে আরও লেখেন, “টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামীলীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের উপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দী থাকে।
অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?
প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরলো, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না ! একটা খুনের বিচার হয় না! এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?”
এএইচ