‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বক্তব্যের জন্য
শেখ হাসিনাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৫ মে ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ০১:৪২ পিএম, ২৫ মে ২০২৫ রবিবার
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২৫ মে) এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশন জানান, ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ বক্তব্যের জন্য শেখ হাসিনাসহ দুইজনকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে আজ আনুষ্ঠানিক একটি অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন বিভাগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ -এমন একটি অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক বিশ্লেষণে এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা।
এর গত মাসের ৩০ এপ্রিল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজে হস্তক্ষেপ ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।' তদন্ত সংস্থা এই অডিওর ফরেনসিক পরীক্ষা করে তা শেখ হাসিনার বলে নিশ্চিত করেছে।’
এদিকে, রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবের প্রথম মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
গত ২১ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শেষ হয়। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিলেই বিচারের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
৮ জন আসামির মধ্যে ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা জোনের সাবেক এডিসি শাহ আলম মো. আকতারুল ইসলাম ও এসি মো. ইমরুল পলাতক রয়েছেন।
এএইচ