সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশের প্রতিবাদে
আজও উত্তাল সচিবালয়, প্রধান ফটকে তালা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২৬ মে ২০২৫ সোমবার

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ সোমবার (২৬ মে) তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে তারা ফটক বন্ধ করে মানববন্ধন করেন। আধ ঘণ্টা পর একটার দিকে ফটক খুলে দেওয়া হয়, এরপর কর্মীরা সচিবালয়ের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বদিউল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, “অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এক দায়িত্বশীল সচিবের মাধ্যমে অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের অগ্রগতি জানাতে হবে।”
দুপুর দুইটায় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ সকাল ১১টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে মিছিল করে বাদামতলায় গড়ে ওঠে জমায়েত। মিছিল শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের সামনে সমাবেশে ঘোষণা করা হয়, বিকেল চারটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। অংশগ্রহণকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সকাল পর্যন্ত সরকারি পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ না এলে বিকাল ৪টায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। শুক্রবার তা জারি হওয়ার পর কর্মচারীরা এটি ‘কালা-আইন’ ও ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ শুরু করেন।
অধ্যাদেশের মূল দণ্ডবিধিগলো হলো-
(১) কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অন্যকে বাধা প্রদান
(২) ছুটিছাড়া অনুপস্থিতি
(৩) সহকর্মীকে আশ্বস্ত বা উসকানি
(৪) কর্তব্যবিরোধী আচরণ
উপরোক্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিম্ন পদোন্নতি, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুতির সাজা হতে পারে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ, দোষী সাব্যস্ত হলে ফের সাত দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে দণ্ডাদেশ আরোপের সুযোগ রয়েছে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল করা যাবে, তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলযোগ্য নয়।
বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যারা এই অধ্যাদেশের প্রভাব ও প্রয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এসএস//