বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা
আইরনম্যান প্রতিযোগিতায় ইমতিয়াজ-মোস্তাফিজ কোয়ালিফাই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ১ জুন ২০২৫ রবিবার | আপডেট: ১১:২২ এএম, ১ জুন ২০২৫ রবিবার

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন এক ইতিহাস রচিত হল মালয়েশিয়ার দেসারু কোস্টে। বিশ্বের অন্যতম Prestigious এবং কঠিন ধৈর্যনির্ভর ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতা Ironman 70.3 Desaru Coast–এ অংশ নিয়ে মোঃ ইমতিয়াজ-বিন-ফারুক ভূঁইয়া এবং মোস্তাফিজুর রহমান সরাসরি কোয়ালিফাই করেছেন।
বয়সভিত্তিক ৩৫–৩৯ বছর বিভাগে অংশ নিয়ে ইমতিয়াজ সময় নেন ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট এবং ওই ক্যাটাগরিতে তিনি হন ৩৫তম। তাঁর বন্ধু এবং সহঅংশগ্রহণকারী মুস্তাফিজুর রহমান সমাপ্ত করেন ৭ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে, অবস্থান করেন ৪৫তম।
তারা নিজেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শেষে রোলডাউনের মাধ্যমে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের স্লট অর্জন করেন। যেটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগীদের জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
দেসারু কোস্টের এই আসরে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৫টি স্লট দেয়া হয়।
কী এই আইরনম্যান?
আইরনম্যান ৭০.৩ একটি হাফ-ডিস্ট্যান্স ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতিযোগীদের সাঁতার (১.৯ কিমি), সাইক্লিং (৯০ কিমি) এবং দৌড় (২১.১ কিমি) করতে হয় একটানা। গরম, জলোচ্ছ্বাস, কঠিন বাইক রুট— সবকিছুর মধ্যেই নিজের সেরাটা দিতে হয়। সেখান থেকেই উঠে আসা একজন বাংলাদেশি অ্যাথলেটের বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি গৌরবময় নজির।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ: এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব
আইরনম্যান ৭০.৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণের জন্য প্রতি প্রতিযোগিতা থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্লট বরাদ্দ থাকে, যা কেবলমাত্র সেরা পারফর্মারদেরকেই দেওয়া হয়। ইমতিয়াজ এবং মোস্তাফিজ সেই স্লট অর্জন করে এখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এই গ্লোবাল আসরে। যেখানে বিশ্বের সেরা ট্রায়াথলেটরা অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের ক্রীড়াশক্তি
তাদের এই অর্জন প্রমাণ করে দিচ্ছে— ইচ্ছাশক্তি, প্রস্তুতি ও ধৈর্য থাকলে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরাও বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিতে পারেন। আইরনম্যান ৭০.৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ মানে শুধু ফিনিশ লাইন অতিক্রম করা নয়, বরং নিজের জাতিকে বিশ্বের ক্রীড়াভূমিতে তুলে ধরা।
আগামী লক্ষ্য: চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি
এখন লক্ষ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, যেখানে বিশ্বের টপ ট্রায়াথলেটদের সঙ্গে লড়াই করবেন ইমতিয়াজ এবং মোস্তাফিজ। কঠিন প্রশিক্ষণ, আরও পেশাদার প্রস্তুতি এবং মানসিক দৃঢ়তাই হবে তাঁর অস্ত্র। বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতের জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। বিশ্বমঞ্চে দেশের অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন, এবং তারা যদি সমর্থন ও প্রস্তুতির যথাযথ সুযোগ পান, তবে দেশের জন্য এনে দিতে পারেন বিশ্বমানে এক নতুন পরিচয়।
এএইচ