ঢাকা, শুক্রবার   ২০ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ৫ ১৪৩২

আবৃত্তিশিল্পী রয়া চৌধুরীর কণ্ঠে ‘সোনার তরী’, ছুঁলো ১০ লক্ষ দর্শক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ১৯ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কবিতা সোনার তরী, এ প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে আবার নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। আর সেই প্রাণদান করেছেন স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী রয়া চৌধুরী। তাঁর আবৃত্তিতে সোনার তরী-র একটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ১০ লক্ষ দর্শন ছুঁয়েছে, যা এদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুরাগীদের কাছে এক অনন্য মুহূর্ত।

প্রথাগত শিল্পচর্চার ধারায় তৈরি, অথচ আধুনিক অনুভবের পরতে পরতে রয়ার কণ্ঠে মিশেছে পরিমিতি, ভাবের গভীরতা এবং ভাষার স্পষ্টতা। সোনার তরী’র মতো এক মননশীল কবিতায় যেখানে আবেগের ভারসাম্য রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ, সেখানে রয়ার নিবিড়, ধীর অথচ সজীব উচ্চারণ এক গভীর মুগ্ধতার জন্ম দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে রয়া চৌধুরী জানান, রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুধু উচ্চারণ নয়, এক ধ্যান। সোনার তরী আমার কাছে এক আত্মগত যাত্রা, নিঃশব্দে, নির্জনে, নিজেকে ছুঁয়ে ফেলার চেষ্টা। ১০ লক্ষ মানুষ সেই যাত্রায় আমার সহযাত্রী হয়েছেন, এ যেন এক নীরব বিপ্লব। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভাষা প্রায় হারিয়ে ফেলছি।

বাঙালির সাহিত্যভাণ্ডারে সোনার তরী কেবল একটি কবিতা নয়, এক দর্শন, এক আত্মঅন্বেষা। কবির ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতা ও সৃজনপিপাসার বহিঃপ্রকাশ এই কবিতার প্রতিটি পঙ্‌ক্তিতে। রয়ার উচ্চারণে সেই আত্মগত উপলব্ধির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শ্রোতার অনুভবের পরিসর।

এই সাফল্য শুধুই একটি ‘ভিউ’-এর সংখ্যা নয়। বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক মুহূর্ত, যেখানে শ্রবণশিল্প আবারও নিজের জায়গা করে নিচ্ছে এই দৃশ্য-আবিষ্ট ডিজিটাল দুনিয়ায়।

এমবি//